মন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই আক্রান্ত হন স্থানীয় বাসিন্দা সাগর বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।
‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এ অভিযোগ জানাতে এসে তৃণমূলের এক কর্মীর কাছে চড় খেতে হল স্থানীয় এক বাসিন্দাকে! উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকার ঘটনা। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ তখন কাছাকাছিই ছিলেন। তখনই তৃণমূল কর্মীর হাতে আক্রান্ত হন ওই স্থানীয় বাসিন্দা। আক্রান্ত যুবকের নাম সাগর বিশ্বাস। অভিযোগ, মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে এলে প্রথমে তৃণমূল কর্মীদের কাছে শাসানি জোটে। পরে তাঁকে কষিয়ে থাপ্পড়ও মারেন এক স্থানীয় কর্মী। পরে ধাক্কা দিতে দিতে ঘটনাস্থল থেকে বারও করে দেওয়া হয় সাগরকে।
অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমের সামনে আক্রান্ত যুবক যাতে কোনও কথা না বলেন তা নিয়েও ওই তৃণমূল কর্মীরা সাগরকে হুমকি দেন। যদিও পরে সাংবাদিকদের কাছে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে আক্রান্ত যুবকের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন মন্ত্রী রথীন।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট সামনে রেখে ডাকা দলীয় সভায় বাংলার ১০ কোটি মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির ঘোষণা করেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানানো হয়, এই কর্মসূচির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন ‘দিদির দূত’। এ-ও ঘোষণা করা হয় যে, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলার ১০ কোটি মানুষ এবং ২ কোটি বাড়ির সমস্যা, অভাব, অভিযোগের কথা দলের শীর্ষ স্তরে, এমনকি নেত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া। আর তাই এই কর্মযজ্ঞের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। অভিষেকের করা ঘোষণা অনুসারে গত কয়েক দিনে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে সারা বাংলার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় ‘দূত’ শতাব্দী রায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়দের। তবে অভিযোগ জানাতে গিয়ে ‘দূত’-এর সামনেই তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার এই প্রথম কোনও ঘটনা প্রকাশ্যে এল।
সাগরের দাবি, তিনি স্থানীয় এক মন্দির কমিটির সদস্য। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই তাঁকে আক্রান্ত হতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy