Advertisement
E-Paper

ভিজে কাপড়ে মোবাইল চার্জ করতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের

শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল জামাইয়ের। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদের বিশপুর ধরমবেড়িয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, গোবিন্দ ঘোষ (৩২) নামে ওই যুবক থাকতেন হিঙ্গলগঞ্জের ঘোষপাড়ায়। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫১

শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল জামাইয়ের। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদের বিশপুর ধরমবেড়িয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, গোবিন্দ ঘোষ (৩২) নামে ওই যুবক থাকতেন হিঙ্গলগঞ্জের ঘোষপাড়ায়। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গোবিন্দবাবু ভিন রাজ্যে কাজ করতেন। গত কয়েক মাস আগে বাড়ি ফিরে কাঠের কাজ শুরু করেন। এ দিন সকালে তিনি স্ত্রী মঞ্জুরানি ও দুই মেয়েকে নিয়ে যান হাসনাবাদের ধরমবেড়িয়ায় শ্বশুরবাড়িতে।

শ্বশুরবাড়ি ঢোকার পথে জলে হাত-পা ধুয়েছিলেন তিনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাড়িতে ঢুকেই তিনি জানান, মোবাইলে চার্জ নেই। সেই মতো মাটিতে পড়ে থাকা একটি এক্সটেনশন কর্ডে মোবাইলে চার্জ দিতে যান। কিছুক্ষণ বাদে ছোট মেয়ে বীথিকা এসে দেখে, বাবা অদ্ভূত ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। গোলমাল বুঝে সে চিৎকার জোড়ে। গোবিন্দবাবুর শ্বশুর সুবিমল মণ্ডল পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি দেখে বুঝতে পারেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে জামাই। বাঁশের ঘা মেরে বিদ্যুতের লাইন থেকে সরিয়ে দেন জামাইকে। দেখা যায়, ততক্ষণে আর দেহে প্রাণ নেই।

এ দিকে, খবর পেয়ে গোবিন্দর ভাই কুরিদাস ঘোষ, গোপাল ঘোষরা চলে আসেন। তাঁরা দেহ নিয়ে চলে যান গ্রামে। সেখানে লোকজন পরামর্শ দেন, এ ভাবে পুলিশকে না জানিয়ে দেহ নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি। পরে খবর দেওয়া হয় থানায়।

এ দিকে, কুরিদাসদের দাবি, হাতে এবং গলায় দাগ ছিল ভাইয়ের। ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। সে কথা পুলিশকে লিখিত জানিয়েওছেন। তবে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেই তদন্ত শুরু করেছে।

shock mobile
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy