বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। অনেক চেষ্টা চরিত্র করেও তাঁকে ফেরাতে পারেননি। তাই উপায়ান্তর না দেখে অন্য পথে হেঁটেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির যুবক। স্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি করতে স্ত্রীর আত্মীয়ার ছেলেকে অপহরণ করে সোজা রওনা দিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের উদ্দেশে! কিন্তু শেষরক্ষা হল না। খড়্গপুর স্টেশন থেকে অপহৃত বালকসমেত যুবককে ধরে ফেলল কুলির ছদ্মবেশধারী পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বৃন্দাবন মণ্ডল। সম্প্রতি বৃন্দাবনের স্ত্রী ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, স্ত্রীকে ফেরাতে স্ত্রীর আত্মীয়া শম্পা মণ্ডলের নাবালক ছেলেকে অপহরণের ছক কষেন বৃন্দাবন। তার পর অপহৃত শিশুটিকে নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে পালিয়ে যান তিনি। অপহরণের পর বৃন্দাবন শম্পাকে ফোন করে জানান, যত ক্ষণ না তাঁর স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত ওই শিশুকে ছাড়া হবে না। এমনকি, পুলিশকে জানালে ছেলেকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
ঘটনায় আতঙ্কিত শম্পা সঙ্গে সঙ্গে কুলতলি থানায় গিয়ে গোটা ঘটনা জানান। অভিযোগ পাওয়ার পরেই দ্রুত পদক্ষেপ করে কুলতলি থানার পুলিশ। পুলিশের একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়। তদন্তকারীরা শম্পাকে দিয়ে কৌশলে বৃন্দাবনকে বোঝান, তাঁর স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তবে তার আগে খড়্গপুর স্টেশনে এসে অপহৃত ছেলেটিকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
এই শর্তে রাজি হয়ে যান বৃন্দাবন। অপহৃত শিশুটিকে নিয়ে রওনা দেন খড়্গপুরের উদ্দেশে। আগে থেকেই সেখানে কুলির ছদ্মবেশে তৈরি ছিল পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে নির্ধারিত সময় মতো বৃন্দাবন খড়্গপুর স্টেশনে পৌঁছোতেই হাতেনাতে তাঁকে ধরে ফেলেন তদন্তকারীরা। রবিবার বৃন্দাবনকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অপহৃত শিশুটিকেও অক্ষত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।