হাসপাতালের মধ্যেই স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা

হাসপাতালে ভর্তি নিজের এক বছরের শিশু কন্যাকে দেখতে এসেছিলেন মা। সেখানে স্বামীর সঙ্গে বচসা বাধে। অভিযোগ, হাসপাতাল ভবনের মধ্যেই স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন স্বামী। হাসপাতালের দেওয়ালে স্ত্রীর মাথা ঠুকে দেন। মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। স্ত্রীকে গলা টিপে স্বামী খুনের চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মধ্যে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাপস দাসকে। খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাপসের বাড়ি স্থানীয় আক্রামপুর আর্দশপল্লী এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে হরিণঘাটার কুলুমবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা সুমিতার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে অশান্তি ছিল। সুমিত্রার দাবি, তাঁর উপরে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করতেন স্বামী। বাধ্য হয়ে সম্প্রতি তিনি স্বামী-কন্যাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান।
রবিবার অসুস্থ মেয়েকে তাপস হাসপাতালে ভর্তি করেন। সে কথা জানান সুমিত্রাকেও। খবর পেয়ে সুমিত্রা হাসপাতালে এসেছিলেন। সেখানেই ফের কোনও বিষয় নিয়ে দু’জনের অশান্তি বাধে।
তাপস বলেন, ‘‘সুমিত্রার আগে বিয়ে হয়েছিল। তা জেনেও আমি ওকে বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু আমার সঙ্গেও সংসার করতে চায়নি।’’