এই নাটবোল্টই চুরি হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
সেতুর নাটবোল্ট বার বার চুরি করছে দুষ্কৃতীরা— এমনই অভিযোগ উঠল বসিরহাটে। মেরুদণ্ডী সেতুর নাটবোল্ট এ ভাবে চুরি হতে থাকলে যে কোনও সময়ে বড় বিপদ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা পূর্ত (সড়ক) দফতরের। ইতিমধ্যে বসিরহাট থানায় অভিযোগও করেছেন তাঁরা ।
পূর্ত (সড়ক) দফতরের মহকুমা আধিকারিক রানা তারং বলেন, ‘‘মেরুদণ্ডী সেতুর মাঝের অংশটি ৫টি স্টিলের গার্ডার বিদেশ থেকে এনে করা হয়েছে। কয়েকশো নাটবোল্ট দিয়ে তা লাগানো হয়েছে। দুষ্কৃতীরা সেই সব স্টিলের দামী নাটবোল্ট চুরি করে বিক্রি করছে। আমাদের কাছে বাড়তি কিছু নাটবোল্ট ছিল, তা লাগানো হয়েছে। তবে এ ভাবে চুরি হতে থাকলে বড় বিপদ ঘটতে পারে।’’
সেতুটির নির্মাণ সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের আশঙ্কা, চুরির বিষয়টি নজরে না পড়লে সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য যাওয়া ভারী লরির চাপে সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে।
বসিরহাটের ইছামতী সেতুর ডান দিক দিয়ে চলে গিয়েছে ওল্ড সাতক্ষিরা রোড। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তায় ইছামতী নদীর পাশে শরৎখালের উপরে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে মেরুদণ্ডী সেতু। কয়েক মাস আগে সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। তবে উদ্বোধনের আগেই ওই সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮০ মিটার লম্বা মেরুদণ্ডী সেতুতে কয়েক দিন আগে দেখা যায়, গার্ডারের নাটবোল্ট খোলা। সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে তা লাগানো হয়। কয়েক দিন যেতে না যেতেই ফের তা চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ।
ব্রিটিশ আমলে নাটবোল্টের মাথা সেতুর সঙ্গে চেপ্টে দেওয়া হত। সেই কারণে বের করা সহজ ছিল না। কিন্তু এখন ওই পদ্ধতি মানা হয় না। তারই সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা।
পুলিশের অনুমান, নেশাগ্রস্তেরা খুচরো চুরি-চামারি করে নেশার খরচ চালায়। নাটবোল্ট চুরি সম্ভবত তাদেরই কাজ। এলাকার কয়েক জনকে জেরা করেও সেই অনুমান জোরদার হয়েছে। নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy