গৃহশিক্ষকতা করে নিজের লেখাপড়া চালানোর পাশাপাশি অসুস্থ দাদুর চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন বছর চব্বিশের তরুণী।
অভিযোগ, প্রতিবেশী এক যুবক ও তার আত্মীয়েরা ওই তরুণীর বাড়িতে চড়াও হয়ে তরুণী তাঁর দাদুর চিকিৎসা করাচ্ছেন না, এই অভিযোগে তাঁকে মারধর করে। তরুণীর মা ঠেকাতে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার বাণীপুর এলাকায়।
বৃহস্পতিবার তরুণীর মা এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের সংখ্যা ৫। হাবড়া থানার আইসি গৌতম মিত্র বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা পলাতক। খোঁজ শুরু হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী এমএ পড়ছেন। মায়ের সঙ্গে তিনি দাদুর বাড়িতে থাকেন। বাবার সঙ্গে তাঁর মায়ের কোনও সম্পর্ক নেই। তরুণী গৃহশিক্ষকতা করেন। তরুণীর মায়ের কথায়, ‘‘মেয়ে টিউশন করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছে। আমার বাবার চিকিৎসার খরচও মেয়েই বহন করছে।’’ তরুণীর দাদুও জানিয়েছেন, তাঁর চিকিৎসার খরচ নাতনিই দিচ্ছে।
অভিযোগ, বুধবার দুপুরে হঠাৎ বিশ্বজিৎ সাহা নামের এক প্রতিবেশী যুবক তরুণীর দাদুর বাড়িতে আসে। বিশ্বজিৎ তরুণীকে বলে, কেন তিনি তাঁর দাদুর চিকিৎসা করাচ্ছেন না? তরুণী সেই কথার প্রতিবাদ করেন। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা বাধে। অভিযোগ, ওই সময়ে বিশ্বজিৎ তরুণীকে গালিগালাজ করে এবং মারতে যায়। বিশ্বজিতের মা বিভা-সহ আরও কয়েকজন আত্মীয়ও সে সময়ে তাঁদের মারধর করে বলে অভিযোগ।