তল্লাশি: গাড়ি থামিয়ে পরীক্ষা করছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
বাগুইহাটির দুই ছাত্রকে খুন করে হাড়োয়া ও ন্যাজাট থানা এলাকায় বাসন্তী হাইওয়ের পাশে দেহ ফেলে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় তদন্ত করছে সিআইডি। প্রাথমিক তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। যেখানে দেহ দু’টি ফেলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা, ওই এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
এই পরিস্থিতিতে কলকাতা-বাসন্তী হাইওয়ের উপরে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। দিন-রাত গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুলিশের কড়া মনোভাব চোখে পড়ছে। হাড়োয়া, ন্যাজাট, সন্দেশখালি এবং মিনাখাঁ থানার পুলিশ একযোগে নজরদারি বাড়িয়েছে।
কলকাতা-বাসন্তী হাইওয়ের বামনপুকুর, দক্ষিণঘেরি, মঠবাড়ি-সহ চার জায়গায় চলছে নাকা চেকিং। গাড়ির চালক, যাত্রীদের পরিচয় জানা হচ্ছে। ডিকি খুলে তল্লাশি চলছে।
এলাকাটি নির্জন। যে পাঁচ কিলোমিটার ব্যবধানে দেহ দু’টি মিলেছিল, তার কাছাকাছি প্রায় আড়াই কিলোমিটার অংশে মালঞ্চ সেতুতে আলো নেই বললেই চলে। শুনশান রাস্তায় পায়ে হেঁটে বিশেষ কেউ যাতায়াত করতে সাহস পান না সন্ধের পরে। মিনাখাঁর বাসিন্দা রমেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘পুলিশের নজর এড়িয়ে কী ভাবে দুষ্কৃতীরা দু’দুটো দেহ এ ভাবে রাস্তার পাশে ফেলে যায়?’’ হাড়োয়ার বাসিন্দা দেবযানী রায়ের কথায়, ‘‘নাকা চেকিং কি সত্যিই প্রতিদিন চলবে? না কি লোক দেখানো কয়েকদিনের পদক্ষেপ!’’ ন্যাজাটের বাসিন্দা ফুলমণি বিবি বলেন, ‘‘পুলিশ সঠিক ভাবে যদি নাকা চেকিং করত, তা হলে দুষ্কৃতীরা এ ভাবে দেহ ফেলে পালাতে পারত না।’’ আগেও এই সব এলাকায় ধর্ষণ, খুন, ছিনতাই, ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। তাঁদের দাবি, ঘটনার পর পর কয়েকদিন পুলিশের দেখা মেলে। নাকা চেকিং চলে। তারপরে সব বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের অবশ্য দাবি, তল্লাশি, নাকা চেকিং এর আগেও চলত। তবে এত দীর্ঘ পথে ২৪ ঘণ্টা সারাক্ষণ তল্লাশি সম্ভব নয়। তবু যথাসাধ্য নজরদারি চলে। তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy