কাকুকে খুনে দোষী সাব্যস্ত ভাইপোকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর মহকুমা আদালত। পাশাপাশি কাকিমাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে আক্রান্ত করার জন্য ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাড়ির ছেলের এই শাস্তিতে খুশি পরিবার। তারা জানিয়েছে, আদালতের এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৭ সালের ১ মে জনৈক গোপাল হালদার ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন ভাইপো শুভঙ্কর হালদার। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন মায়া হালদার। দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গোপালের শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হয়। তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় গোপালের। মায়া বেশ কিছু দিন পর সুস্থ হন।
মৃতের বড় ছেলে গৌরাঙ্গ হালদার বারুইপুর থানায় শুভঙ্করের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। তিনি জানান, বাড়িতে টিউবওয়েল বসানোকে কেন্দ্র করে তাঁর বাবার সঙ্গে তুতো দাদার অশান্তি হয়। তাতেই তাঁর বাবা-মাকে আক্রমণ করেন শুভঙ্কর। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র এবং রক্তমাখা পোশাক।
আরও পড়ুন:
অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে রেখেই ঘটনার বিচারপর্ব শুরু হয়। মঙ্গলবার দোষীর শাস্তি ঘোষণা করেন বারুইপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক কৃষ্ণেন্দু সরকার। সরকারি আইনজীবী আব্দুল ওয়াব গাজি বলেন, ‘‘মোট ১১ জন এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁদের সাক্ষ্য এবং উপযুক্ত প্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতে শুভঙ্কর হালদারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় গত ১০ মার্চ। মঙ্গলবার তাঁর শাস্তি ঘোষণা করেছে আদালত। এই রায়ে খুশি হালদার পরিবার।’’