অশোকনগরে আনা হচ্ছে বিক্রম সরকারকে। নিজস্ব চিত্র
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে নার্সিং পড়ুয়া উদ্ভব সরকারকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল তাঁর রুমমেট তথা সহপাঠী বিক্রম সরকার। ঘটনার পর থেকেই বিক্রম ফেরার ছিল। খুনের তিন দিন পরে, বুধবার দুপুরে, অশোকনগর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গঙ্গারামপুর থানার যাদববাটি এলাকা থেকে বিক্রমকে গ্রেফতার করে। আজ, বৃহস্পতিবার তাকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত জেলা আদালতে হাজির করানো হতে পারে বলে অশোকনগর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, ‘‘এ দিন যৌথ অভিযান চালিয়ে গঙ্গারামপুরের আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে থাকা অভিযুক্ত বিক্রমকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে গঙ্গারামপুর থেকে পুলিশ অশোকনগর থানায় নিয়ে গিয়েছে।’’
২৭ নভেম্বর গঙ্গারামপুর থানার যাদববাটির বাসিন্দা নার্সিং পড়ুয়া উদ্ভব সরকার অশোকনগরে খুন হন। খাটের নীচ থেকে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। একই ঘরে থাকতেন উদ্ভব ও বিক্রম। বিক্রমের বাড়িও গঙ্গারামপুরের যাদববাটিতে। সোমবার নিহত যুবকের জেঠা অরুণ সরকার অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। মঙ্গলবার, উদ্ভবের মৃতদেহ গঙ্গারামপুরের বাড়িতে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত বিক্রমের বাড়ির সামনে উদ্ভবের মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের পুলিশি-আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
এ দিন ছেলে গ্রেফতারের খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানায় পৌঁছন ধৃত বিক্রমের মা তথা পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশুকল্যাণ কর্মাধ্যক্ষ ঊর্মিলা সরকার। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ঊর্মিলার দাবি, ‘‘আমার ছেলে নির্দোষ। উদ্ভব খুনের বিষয়ে বিক্রম কিছু জানে না।’’ খাটের নীচে উদ্ভবের মৃতদেহ দেখে বিক্রম ভয়ে পালিয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy