প্রতীকী ছবি।
‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন মৌসুনী দ্বীপের বাসিন্দা বৃদ্ধা জ্যোৎস্না ধারা। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই তাঁর স্বামী ক্ষুদিরাম হৃদরোগে আক্রান্ত হন। শুক্রবার সকালে সে খবর পেয়ে দম্পতির বাড়িতে হাজির হন নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির কাজে যুক্ত কর্মীরা। বৃদ্ধের বাড়িতে বসেই তাঁরা তৈরি করেন কার্ড। প্রশাসন সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেয়ে ক্ষুদিরামের চিকিৎসার জন্য কলকাতার একটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে পরিবার। নিয়ম অনুয়াযী, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন করতে হয় পরিবারের মহিলাকে। তাঁর নামেই কার্ড হয়। সেই কার্ডেই চিকিৎসা হয় পরিবারের সকলের। কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন জ্যোৎস্না। তবে ছবি তোলা-সহ অন্য কাজের জন্য আবেদনকারী ও উপভোক্তাদের মৌসুনি পঞ্চায়েত কার্যালয়ে যেতে হত। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় ক্ষুদিরামের পক্ষে তা সম্ভব ছিল না।
খবর পঞ্চায়েত থেকে পেয়ে শুক্রবার সকালে বাড়িতে হাজির হন বিডিও। শান্তনু বলেন, ‘‘জরুরি ভিত্তিতে বৃদ্ধের চিকিৎসা প্রয়োজন ছিল। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। পঞ্চায়েত থেকে সে খবর পেয়ে আমরা ওঁর বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করাই। তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’ প্রশাসনের সক্রিয়তায় আপ্লুত ক্ষুদিরামের ছেলে তাপস। তিনি বলেন, ‘‘আমার বাবা খুবই অসুস্থ। দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। আমাদের পক্ষে মোটা টাকা খরচ করে চিকিৎসা করানো সম্ভব ছিল না। বিডিও ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা আমাদের জন্য যা করলেন, সেই উপকার কখনও ভুলব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy