Advertisement
০৭ নভেম্বর ২০২৪

পুলিশকে মারধরের নালিশ, ধৃত দুই ভাই

হেলমেট দিয়ে পুলিশ পেটানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক ও তাঁর ভাই। তিনি আবার পেশায় শিক্ষক। বাবা প্রাক্তন পুলিশ অফিসার। দুই ভাইয়ের দু’টি মোটর বাইক আটক করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হিঙ্গলগঞ্জের নারকেলতলা এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হিঙ্গলগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০৪
Share: Save:

হেলমেট দিয়ে পুলিশ পেটানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক ও তাঁর ভাই। তিনি আবার পেশায় শিক্ষক। বাবা প্রাক্তন পুলিশ অফিসার। দুই ভাইয়ের দু’টি মোটর বাইক আটক করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হিঙ্গলগঞ্জের নারকেলতলা এলাকায়। পেশায় চিকিৎসক স্বপন বিশ্বাস ও শিক্ষক তপন বিশ্বাসের বাড়ি স্থানীয় বাঁকড়া ডোবর গ্রামে। মঙ্গলবার বসিরহাটের এসিজেএম অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে তোলা হলে জামিন পেয়েছেন দু’জন। তাঁদের আইনজীবী মনিন হোসেন মুকুলের দাবি, ‘‘আমার মক্কেলরা সম্পূর্ণ নির্দোষ। সামান্য একটা ঘটনায় পুলিশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে। বিচারক সব দিক বিবেচনা করে জামিন মঞ্জুর করেছেন।’’

সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি বিএসএফ–পুলিশ যৌথ নজরদারি শুরু হয়েছে। সোমবার হিঙ্গলগঞ্জের নারকেলতলা এলাকায় স্থানীয় থানার এএসআই চিন্তামণি নস্করের উপস্থিতিতে কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ারেরা তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। বিকেল ৫টা নাগাদ ওই পথ দিয়ে মোটর বাইকে বাঁকড়া গ্রামের চেম্বারে যাচ্ছিলেন স্বপনবাবু। পুলিশ অফিসার তাঁর কাছে গাড়ির নথি চান। না মেলায় ফাইনের রসিদ কাটেন। অভিযোগ, এরপরেই রসিদ ছুঁড়ে ফেলে হুমকি দিতে থাকেন স্বপন। উভয়পক্ষের বচসা চলাকালীন স্বপনবাবু হেলমেট দিয়ে মারলে হাতে চোট পান পুলিশ অফিসার।

খবর যায় থানায়। মোবাইলে স্বপনবাবুও ভাই তপনকে খবর দেন। ততক্ষণে লোকজন জড়ো হয়েছে। তপনবাবুও হাজির হয়েছেন। অভিযোগ, দুই ভাই গালিগালাজ শুরু করেন। হুমকি দেন। হাতাহাতিও বাধান। এক কনস্টেবলও চোট পান। পুলিশ দুই ভাইকে আটক করে থানায় আনে। অভিযোগ, থানায় এসেও হম্বিতম্বি কমেনি দুই ভাইয়ের। পুলিশ অফিসারের জামার কলার ধরে টানাটানি করেন তাঁরা। বাবা প্রাক্তন পুলিশ কর্মী, এ কথাটা বারবারই মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁরা।

চিন্তামণিবাবু বলেন, ‘‘গাড়ির কাগজ চাওয়ায় হুমকি, গালিগালাজ শুরু হয়েছিল। ডাক্তারবাবু আবার হেলমেট দিয়ে আমাকে মারেন। বাবা পুলিশ অফিসার ছিলেন, এই পরিচয় দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন।’’

অন্য দিকে, স্বপনবাবু বলেন, ‘‘গাড়ির একটা কাগজ বাড়িতে আছে বলেছিলাম। তাতেই পুলিশ অফিসার আমার উপরে চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করলেন। প্রতিবাদ করলে প্রচণ্ড মারধরও করা হয়। ভাইকে খবর দিলে তাঁকেও মারা হয়েছে। থানায় নিয়ে গিয়ে আরও এক দফা মারধরের পরে মিথ্যা অভিযোগে কেস দেওয়া হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Police officer beaten up two arrested Hingalganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE