Advertisement
E-Paper

মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার উল্টে এখনও নিখোঁজ ৪

মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ চার জন। শুক্রবার রাতে জম্বুদ্বীপ থেকে কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণে এফবি গোবিন্দ নামের একটি ট্রলার প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে কাত হয়ে গেলে পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৬ ০২:০৫

মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ চার জন।

শুক্রবার রাতে জম্বুদ্বীপ থেকে কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণে এফবি গোবিন্দ নামের একটি ট্রলার প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে কাত হয়ে গেলে পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। মৎস্যজীবী সংগঠনের অভিযোগ, পুলিশ এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর থেকে উদ্ধারে কোনও সহযোগিতা মেলেনি। তাঁরাই তিনটি ট্রলার নিয়ে উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছেন।

প্রশাসন এবং মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারটিতে ১৭ জন ছিলেন। শুক্রবার রাতে প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারের প্রপেলার কাদায় আটকে যায়। ইঞ্জিনে কাদাজল ঢুকে যায়। ট্রলারটি কাত হয়ে গেলে গৌতম শিট, বিবেকানন্দ সরকার, প্রতাপ মণ্ডল, শ্রীকৃষ্ণ মাইতি এবং বাদল দাস সমুদ্রে পড়ে যান। তাঁদের মধ্যে কাকদ্বীপের বাসিন্দা গৌতমবাবুকে উদ্ধার করা হয়েছে। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘আমার বাড়িতে ফোন নেই। পাশের বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছি যে বেঁচে আছি।’’ দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওই মৎস্যজীবীদের সকলেরই বাড়ি কাকদ্বীপে। এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় আছে পরিবারগুলি।

মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, ট্রলারের মধ্যে থাকাকালীন যাত্রীদের জীবনদায়ী জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না। শুক্রবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারের মৎস্যজীবীরাও জ্যাকেট পড়ে ছিলেন না। যদিও ওই ট্রলারের মালিক তথা কাকদ্বীপের বাসিন্দা বীরাঙ্গ দাসের সাফাই, ‘‘ট্রলারে জ্যাকেট ছিল। কিন্তু তীরের দিকে এসে গেলে কী কেউ জ্যাকেট পড়ে? আসলে প্রবল ঢেউয়ের মধ্যে মৎস্যজীবীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন।’’ মৎস্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ট্রলার যতক্ষণ সমুদ্রে থাকবে, ততক্ষণই জ্যাকেট পরে থাকার কথা।

ট্রলার দুর্ঘটনার পরে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা বিজন মাইতি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাতে পুলিশ কর্তাদের ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়। কিন্তু থানার এক কর্তা জানান, তাঁদের কিছু করার নেই। অথচ থানায় তিনটি স্পিড বোট রয়েছে।’’

পুলিশের অবশ্য দাবি, স্পিড বোট থাকলেও সেগুলি চালানোর জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী নেই। এ ছাড়া, ছোট স্পিড বোট প্রবল ঢেউয়ে উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সেগুলি পাঠানো হয়নি। তবে উপকূলরক্ষী বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে। যদিও মৎস্যজীবীদের দাবি, উপকূলরক্ষী বাহিনীও উদ্ধার কাজে আসেনি।

troller accident
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy