Advertisement
E-Paper

১৫০ প্রসূতির দেখাশোনায় নার্স মাত্র দু’জন

হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে প্রায় ৮৮টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই ১৩০-১৪০ জন রোগী ভর্তি থাকে। শয্যার হিসেব ধরলেও রাতের ডিউটিতে অন্তত ৭ জন নার্স থাকা দরকার ওই বিভাগে। কিন্তু তা হচ্ছে না। হাসপাতালে মাসে প্রায় ৫০০ প্রসব হয়। গোটা হাসপাতালে নার্স আছেন জনা পঁয়তিরিশ।

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৭ ০৭:৫০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রসূতি বিভাগে ভর্তি প্রায় দে়ড়শো জন। রাতে তাঁদের দেখাশোনা জন্য থাকেন দু’জন মাত্র নার্স!

কাকদ্বীপ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নার্সের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। রোগীর সামান্য অসুবিধায় নার্সদের ডাকলে দূর থেকে কু’কথা ভেসে আসে বলেও অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের।

সবে কাজে যোগ দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার নতুন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায়। বৃহস্পতিবারই তিনি কাকদ্বীপ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। তাঁর কথায়, ‘‘হাসপাতালের সমস্ত স্টাফের নতুন ডিউটি রোস্টার তৈরি করতে বলেছি, রাজ্যের সব জায়গাতেই কর্মী কম। কিন্তু পরিষেবা দিতে হবে। রোগীর বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে দুর্বব্যহার একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।’’ কর্মী কম থাকায় কী অসুবিধা হচ্ছে তার একটি রিপোর্ট তৈরি করে দিতে বলা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলে তিনি জানান।

হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে প্রায় ৮৮টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই ১৩০-১৪০ জন রোগী ভর্তি থাকে। শয্যার হিসেব ধরলেও রাতের ডিউটিতে অন্তত ৭ জন নার্স থাকা দরকার ওই বিভাগে। কিন্তু তা হচ্ছে না। হাসপাতালে মাসে প্রায় ৫০০ প্রসব হয়। গোটা হাসপাতালে নার্স আছেন জনা পঁয়তিরিশ। সব মিলিয়েও যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তার মধ্যে আবার কাকদ্বীপ হাসপাতালের ৭ জন নার্সকে তুলে নেওয়া হয়েছে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালের জন্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন, ‘‘প্রতিনিয়ত চিৎকার করতে থাকেন প্রসূতিরা। বাচ্চা হওয়ার পরেও প্রায় প্রতি দু’তিনটি শয্যা থেকে এক এক জন বলতে থাকেন, দেখুন না বাচ্চার কী হয়েছে। সারা রাত ধরে দু’জনের পক্ষে এত রোগী দেখা সম্ভব হয় না।’’

কেন নার্সের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে না? হাসপাতালের সুপার রাজর্ষি দাস বলেন, ‘‘একটু সমস্যা রয়েছে। তবে আমরা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’’

পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি না করেই চালু করে দেওয়া হয়েছিল কাকদ্বীপ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। এখন চিকিৎসক এবং নার্সের অভাবে রোগী বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে বার বার। নার্সের অভাবে অনেক সময়েই শিশু বিভাগ এবং প্রসূতি বিভাগে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। যে নার্সরা কাজে আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ ওঠে। অনেক সময়ে অস্ত্রোপচার পিছিয়ে দিতে হয়।

doctor Nurse Pregnant
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy