Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Cyclone Amphan

ভেঙেছে বাঁধ, ধৈর্যও

এ দিন দুপুরে কয়েকশো দুর্গত মানুষ স্থানীয় পঞ্চায়েতে গিয়ে বাঁধ ভাঙা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে

দুর্ভোগ: হাসনাবাদের ঘূর্ণির খলিসাখালি গ্রামে বাঁধ ভেঙে ঢুকছে জল। আতঙ্কে মানুষ। ছবি: নির্মল বসু

দুর্ভোগ: হাসনাবাদের ঘূর্ণির খলিসাখালি গ্রামে বাঁধ ভেঙে ঢুকছে জল। আতঙ্কে মানুষ। ছবি: নির্মল বসু

নিজস্ব সংবাদদাতা 
হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২০ ০৭:২১
Share: Save:

বাঁধ মেরামতি নিয়ে ক্ষোভ, পর্যাপ্ত ত্রাণের দাবিতে পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন দুর্গত এলাকার মানুষ। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনায় একজন গ্রামীণ পুলিশকে ক্ষুব্ধ জনতার হাতে মার খেতে হয়। পঞ্চায়েতে ভাঙচুর চলে বলেও অভিযোগ। হাসনাবাদের পাটলিখানপুর পঞ্চায়েতে এই ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় র্যাফ নামাতে হয়েছে। পূর্ণিমার ভরা কোটালে ডাঁসা নদীর জল বাড়তেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাটলিখানপুরের খলিসাখালি বাঁধ। একই রাতে ওই এলাকার আরও একটি বাঁধ ভাঙায় ফের জলমগ্ন হয়ে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। এ দিকে, নতুন করে বাঁধ ভাঙায় হাসনাবাদের পাটলিখানপুর এলাকায় খলিসাখালি, পশ্চিম, মধ্য, পূর্ব ঘূর্ণী, আন্দুলগাছা, মহিষপুকুর, বেনা, জয়গ্রাম এবং বালিয়াডাঙা সহ ১২-টি গ্রাম নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত মানুষের অভিযোগ, বাঁধ কেটে ইটভাটায় অবৈধ খাল কাটায় এবং মেছোভেড়ি এলাকায় ছোট ছোট বাঁশ দিয়ে রিং বাঁধ দেওয়ায় কারণেই ভরা কোটালে বাঁধ ভেঙে ফের গ্রামে জল ঢুকেছে।

এ দিন দুপুরে কয়েকশো দুর্গত মানুষ স্থানীয় পঞ্চায়েতে গিয়ে বাঁধ ভাঙা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, বাঁধ নিয়ে দুর্নীতি করা হয়েছে। পঞ্চায়েতের প্রধান পারুল গাজির স্বামী আব্দুল রহিম গাজি ঘেরাও হন। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে ক্ষুব্ধ জনতার হাতে মার খেতে হয় এক গ্রামীণ পুলিশকে।

বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, ‘‘একটা উত্তেজনা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে সামাল দিয়েছে। টহল চলছে।’’

পঞ্চায়েত সদস্য কেনায়েত গাজি বলেন, ‘‘ভরা কোটালে বাঁধ রক্ষা করা নিয়ে প্রথম থেকেই আমাদের সন্দেহ ছিল। নতুন করে প্লাবিত হওয়ার মানুষের পর্যাপ্ত খাদ্য এবং ত্রিপলের অভাব দেখা দেওয়ায় মানুষ ক্ষুব্ধ। বিক্ষোভ চলাকালীন প্রধানের স্বামীকে উদ্ধার করতে গিয়ে জনতার হাতে গ্রামীণ পুলিশকর্মী আহত হন।’’ স্থানীয় বাসিন্দা আলতাপ হোসেন, আব্দুর রহিম, অলিউল কারিগররা বলেন, ‘‘হালকা, পলকা ছোট ছোট বাঁশ দিয়ে বাঁধ শুরু হতেই বুঝেছিলাম, আমাদের কপালে দুর্ভোগের শেষ নেই।’’ আব্দুল রহিম বলেন, ‘‘প্রথম দিকে পর্যাপ্ত ত্রাণ দেওয়া হয়েছিল। তবে আরও ত্রাণ চাই।’’ তাঁর দাবি, বাঁধ মেরামত নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। তবে অতিরিক্ত জলস্ফীতি হওয়ায় বাঁধ রক্ষা করা যায়নি।

কোটাল চলাকালীন বাঁধ মেরামত এখনই সম্ভব নয়। জল কমলে ফের বাঁধ সংস্কার করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cyclone Amphan Dam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE