ঝুঁকি: ঠাকুরনগরে নিজস্ব চিত্র
দৃশ্য ১: রেলগেট দেওয়া। ট্রেন আসার অপেক্ষায়। হঠাৎ এক বাইক আরোহী তার তলা দিয়েই লাইন পেরোলেন। একই ভাবে পেরোল স্কুল পড়ুয়ারা।
দৃশ্য ২: ঠাকুরনগর স্টেশনে এক মহিলা কোলে শিশু নিয়ে ফাঁক গলে লাইন পার করলেন। অনেক মহিলা হামাগুড়ি দিয়ে রেলগেট পেরোচ্ছেন।
অনেক সময়ে দেখা যাচ্ছে রেলগেট পেরোতেই ট্রেন এসে গিয়েছে। লাইনের পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে অনেকে। তাঁদের গা ঘেঁষে ট্রেনগুলি বেরিয়ে যাচ্ছে।
এ ভাবে পেরোতে গিয়ে বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার বিভিন্ন রেল স্টেশনে ঘটে গিয়েছে দুর্ঘটনা। দিন কয়েক আগেই এ ভাবে সাইকেল নিয়ে পেরোতে গিয়ে হাবরায় প্রাণ গিয়েছিল এক বৃদ্ধের। তবুও মানুষের হুঁশ ফেরেনি মানুষের।
রেলপুলিশের পক্ষ থেকেও কোনও নজরদারি নেই। সাধারণ মানুষই জানাচ্ছেন, পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। মানুষকে নিজের থেকে সচেতন হতে হবে।
হাবরা শহরে যশোর রোডের উপর স্থানীয় দু’টি রেলগেট আছে। যা স্থানীয় মানুষের কাছে ১ ও ২ নম্বর রেলগেট হিসাবেই পরিচিত। ট্রেন আসার জন্য রেলগেট ফেলা হয়েছে। দু’পাশে প্রচুর মানুষ ও যানবাহন দাঁড়িয়ে। কিন্তু অনেকেই রেলগেটের তলা দিয়ে বিপজ্জনক ভাবে পারাপার হচ্ছেন।
শুধু হাবরা এলাকায় নয়, বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার চাঁদাপাড়া, ঠাকুরনগর, মছলন্দপুর, অশোকনগর প্রত্যেকটি স্টেশনে এই একই ছবি দেখা গেল। জিজ্ঞাসা করাতে এক মহিলা বলেন, ‘‘ব্যস্ত আছি। সে কারণে ট্রেন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারলাম না।’’ অনেকে কোনও কথা না বলেই চলে গেলেন।
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলগেট পড়ে থাকা অবস্থায় কেউ যদি তার তলা দিয়ে যাতায়াত করেন তাঁর বিরুদ্ধে রেল আইনের ১৪৬ ধারায় মামলা হতে পারে। ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে। রেলপুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘রেলগেট পড়া অবস্থায় রাস্তা পাড় হওয়া মানে নির্দেশ অমান্য করা। এটা অপরাধ। কিন্তু ধরপাকড় করে সমস্যা মিটবে না। মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।’’ মাঝে মধ্যে ধড়পাকড় হয় বলেও রেল পুলিশের দাবি। কিন্তু মানুষজন সচেতন হবে কবে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy