Advertisement
০২ মে ২০২৪

কারখানার দূষণ নিয়ে ধুন্ধুমার, রাস্তা অবরোধ

অবরোধ তোলা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে বাসিন্দাদের ধস্তাধস্তিও হয়। এরই মধ্যে কারখানায় আগুন লাগে। কারখানার একটি গাড়ি আন্দোলনকারীরা ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

টিটাগড়ের সেই কারখানার সামনে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের সামলাচ্ছে পুলিশ। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

টিটাগড়ের সেই কারখানার সামনে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের সামলাচ্ছে পুলিশ। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৪৫
Share: Save:

দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করছিলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, তাতেও হোসিয়ারি কারখানা থেকে দূষণ ছড়ানো বন্ধ হয়নি। বৃহস্পতিবার কারখানা থেকে ফের ছাই ওড়া বাড়তেই ব্যারাকপুর-বারাসত রোড এবং কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন টিটাগড় থানা এলাকার নীলগঞ্জ নাভারন্ড এলাকার বাসিন্দারা।

অবরোধ তোলা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে বাসিন্দাদের ধস্তাধস্তিও হয়। এরই মধ্যে কারখানায় আগুন লাগে। কারখানার একটি গাড়ি আন্দোলনকারীরা ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। শেষে বিধায়ক এবং প্রশাসনের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।

কারখানাটি শুরুর কিছু দিন পর থেকেই ছাই ছড়ানো শুরু করে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়েরা। সেই দূষণ ক্রমেই বাড়ছিল। রাস্তাঘাট, বাড়ি, উঠোন, জলাশয় ছাইয়ে ভরে যাচ্ছিল। ত্বক এবং শ্বাসের সমস্যাও বাড়ছিল এলাকায়। গ্রামবাসীরা প্রথমে কারখানা কর্তৃপক্ষকে এবং পরে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানান তাঁরা। অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে ছাই ছড়ানোর মাত্রা বহু গুণ বেড়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাই বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করেন। কারখানা গেটের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই ছিল বেশি। খবর পেয়ে শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অরুণ ঘোষ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তোলার অনুরোধ করেন। এর পরেই তাঁর সঙ্গে শুরু হয় বচসা। অরুণ এবং তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়েও আন্দোলনকারীদের হটাতে পারেনি।

এরই মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের একটি বয়লারে আগুন লেগেছে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন আয়ত্তে আনে। পুলিশ সূত্রের খবর, আগুন নেভাতে গিয়ে কারখানার চার কর্মী জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারখানা থেকে একটি গাড়ি বেরোনোর চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাতে ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয় র‌্যাফ। খবর পেয়ে আসেন বিধায়ক সুনীল সিংহ এবং ব্যারাকপুর ২-এর বিডিও অনামিকা বেরা। তাঁরা আশ্বাস দেন, দূষণ সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে। তার পরেই পরিস্থিতি শান্ত হয়।

কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের কেউ ঢুকে একটি যন্ত্র বন্ধ করায় বয়লারে আগুন ধরে যায়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষই নিজেই আগুন লাগিয়ে তাঁদের উপরে দোষ চাপানোর চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Violence Protest Hosiery Factory Pollution
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE