E-Paper

রমজান মাসে ফলের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা

সম্প্রতি ভাঙড়, ঘটকপুকুর, কাশীপুরে বাজার ঘুরে দেখা গেল, কমলালেবুর দাম গত কয়েক দিন আগেও ছিল ১০-১২ টাকা প্রতি পিস। তা বেড়ে হয়েছে ১৫-২০ টাকা।

সামসুল হুদা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪ ০৮:১২
ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে ফলের বাজার। নিজস্ব চিত্র 

ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে ফলের বাজার। নিজস্ব চিত্র 

রমজান মাস শুরু হওয়ায় বাজারে ফলের চাহিদা বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দামও। ফলে সমস্যায় পড়েছেন রোজা পালন করা বহু মানুষ।

সম্প্রতি ভাঙড়, ঘটকপুকুর, কাশীপুরে বাজার ঘুরে দেখা গেল, কমলালেবুর দাম গত কয়েক দিন আগেও ছিল ১০-১২ টাকা প্রতি পিস। তা বেড়ে হয়েছে ১৫-২০ টাকা। আপেল ১৪০-১৫০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮০-২০০ টাকা, আঙুরের কেজি ৭০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা, তরমুজের দাম ২০-২৫ টাকা কেজি থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০-৪০ টাকা। এক ডজন কলার দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা, এখন তা হয়েছে ৭০-৮০ টাকা। ১০০-১২০ টাকা কেজির খেজুরের দাম বেড়ে হয়েছে ২০০-২৫০ টাকা। বেড়েছে আনাজের দামও। আলুর কেজি ১৭-১৮ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি, পটল ৯০ টাকা কেজি, ঝিঙে ৮০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা কেজি, কুমড়ো ৩০ টাকা কেজি, রসুন ২০০-২৫০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি।

ভাঙড়ের ভুমরু গ্রামের কাশেম মোল্লা বলেন, ‘‘রিকশা চালিয়ে রোজগার সামান্যই। রমজান মাসে পরিবারের পাঁচ জন সদস্য রোজা রাখেন। সকলের মুখে একটু ফলমূল তুলে দেব, সে উপায় নেই। ফলের যা দাম, ছোঁয়াই যাচ্ছে না।’’ বড়ালি গ্রামের স্কুল শিক্ষক ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, ‘‘ফলের পাশাপাশি আনাজেরও দাম বেড়ে গিয়েছে। প্রতি দিন বাজারে অনেক টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে।’’ কাশীপুরের ফল বিক্রেতা জাকির মোল্লা জানালেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান কম। ফলে সমস্যা হচ্ছে। ঘটকপুকুরের ফলের গুদামের মালিক ইউসুফ আলি বলেন, ‘‘কলকাতার পাইকারি বাজার থেকে ঠিক মতো মাল পাওয়া যাচ্ছে না। তা ছাড়া, গাড়িতে করে যে ফলের পেটি আসে, তার মধ্যে থেকে পচা ফল বাদ দিতে হয়। যে দামে ফল কেনা হচ্ছে, তার সঙ্গে পচা ফল বাদ দিয়ে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই দাম বাড়ছে।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফল বিক্রেতা অবশ্য বলেন, ‘‘এ সময়ে আড়তদারেরা কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করেন। তাই ফলের দাম হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে।’’ এ বিষয়ে ভাঙড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘হঠাৎ করে ফলের দাম অনেকটাই বেড়েছে, এটা ঠিক। কিন্তু এই দাম নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই। তবে কোথাও যাতে কালোবাজারি না হয়, সে জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bhangar ramzan

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy