E-Paper

দিল্লির ব্যবসায়ীকে অপহরণে গ্রেফতার দুই তৃণমূল নেতা-সহ তিন

পুলিশ জানায়, বসিরহাট এলাকার কয়েক জনের সঙ্গে মাগুর মাছের ব্যবসা করতেন নাজিম। অপহরণ চক্রের মাথা জসিমউদ্দিন ওরফে রাজুর সঙ্গেও ব্যবসা করতেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫ ০৭:১৩
সোমবার সন্ধ্যায় দুই তৃণমূল নেতা-সহ তিন জনকে ধরে পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় দুই তৃণমূল নেতা-সহ তিন জনকে ধরে পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।

দিল্লির এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল এক কোটি টাকা। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের দুই তৃণমূল নেতা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগরের চারঘাট পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি সামাদ মণ্ডলকে সোমবার গ্রেফতার করে বারাসত পুলিশ জেলার অধীনস্থ শাসন থানার পুলিশ। দিল্লির ব্যবসায়ী নাজিম চৌহানকে অপহরণ করার ঘটনায় সামাদকে ধরা হয়। সেই সঙ্গে ধরা হয় স্বরূপনগরের তৃণমূল নেতা সাজ্জন মণ্ডল এবং জামালউদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তিকে। তবে, মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।

পুলিশ জানায়, বসিরহাট এলাকার কয়েক জনের সঙ্গে মাগুর মাছের ব্যবসা করতেন নাজিম। অপহরণ চক্রের মাথা জসিমউদ্দিন ওরফে রাজুর সঙ্গেও ব্যবসা করতেন তিনি। এক বছর আগে সেই ব্যবসা বন্ধের জেরে লেনদেনের বখরা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। পুলিশের কাছে নাজিমের দাবি, তাঁকে ভাগের টাকা নিতে বসিরহাটে আসতে বলে রাজু। রবিবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে ক্যাবে বসিরহাটের দিকে যাওয়ার পথেই কাচকল এলাকা থেকে নাজিমকে অপহরণ করা হয়। মিরাজুল গাজি নামে ওই ক্যাবচালক দ্রুত শাসন থানায় পৌঁছে পুলিশকে খবর দেন। সোমবার সন্ধ্যায় দুই তৃণমূল নেতা-সহ তিন জনকে ধরে পুলিশ।

বারাসত পুলিশ জেলা সূত্রের খবর, নাজিম ও তাঁর ব্যবসার অংশীদারদের চিনতেন মিরাজুল। নাজিম শহরে এসে তাঁর ক্যাবে উঠবেন বলে আগেই ঠিক ছিল। মিরাজুল পুলিশকে জানান, রাজু আগে থেকেই ক্যাবে বসেছিল। নাজিম ক্যাবে ওঠার পরে কাচকল এলাকায় রাজু গাড়ি থামায়। তখন পিছন থেকে অন্য একটি গাড়ি এসে নাজিম ও রাজুকে তুলে নেয়।

প্রাথমিত তদন্তে পুলিশ জেনেছে, নাজিমের সঙ্গে তাকেও জোর করে গাড়িতে তোলার চিত্রনাট্য সাজিয়েছিল রাজু। অপহরণের পরে নাজিমের পরিবারের নম্বর চেয়ে ওই ক্যাবচালকের কাছে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। সেই ফোনের সূত্র ধরেই তিন জনকে ধরে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত রাজু-সহ আরও কয়েক জনের খোঁজ চলছে।

মঙ্গলবার বারাসতের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ধৃতদের তিন দিনের জেল হেফাজত হয়। তাদের টিআই প্যারেডে দাঁড় করানো হবে। পুলিশ জানিয়েছে, এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, বাজারে রাজুর প্রায় তিন কোটি টাকা দেনা আছে। তাই নাজিমকে অপহরণ করে এক কোটি টাকা তোলার ছক কষেছিল সে। এর পরে অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতার সাহায্যে বসিরহাটে নাজিমকে আটকে রাখে। বসিরহাট জেলা তৃণমূলের সভাপতি বুরানুল মুকাদ্দিম লিটনের বক্তব্য, ‘‘এক জন অপরাধমূলক কাজ করায় পুলিশ তাকে ধরেছে বলে শুনেছি। সব দিক খতিয়ে দেখে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC Basirhat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy