তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পলাশ ভৌমিক। প্রতীকী ছবি।
দিন কয়েক ধরে বন্ধ রায়দিঘির একটি ক্লাবঘরের ভিতর থেকে স্থানীয় এক যুবকের পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। তাদের প্রাথমিক অনুমান, ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থানা এলাকার এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রায়দিঘির কাছারি বাজার মোড়ের একটি বন্ধ ক্লাবঘর থেকে পলাশ ভৌমিক (২৭) নামে এক যুবকের পচাগলা ঝুলন্ত দেহ মিলেছে। পুলিশের কাছে ওই ক্লাবের সদস্যদের দাবি, দিন কয়েক ধরেই ক্লাবঘরটি বন্ধ ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্লাবের দোতলায় ওই ঘরে গিয়ে তাঁরা দেখেন, ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে সেটি। এর পর বাইরের জানলা খুলতেই দুর্গন্ধ বার হতে থাকে। ঘরের মধ্যে পলাশের পচাগলা দেহ ঝুলতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে রায়দিঘি থানায় খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে রায়দিঘি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পলাশের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে পলাশের মা এবং মথুরাপুর-২ ব্লকের বিডিও উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের দাবি, মাস ছয়েক আগে পলাশের বাবা মারা যান। তার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। চার দিন আগে বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন পলাশ। তার পর থেকে তাঁর কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন পলাশ। মন্দিরবাজারের এসডিপিও বিশ্বজিৎ নস্কর বলেন, ‘‘এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি, ওই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্তে নেমেছে রায়দিঘি থানার পুলিশ।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় সুদের কারবার করতেন পলাশ। স্থানীয়দের দাবি, সম্প্রতি দেনায় দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়েন তিনি। তারই জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সে কারণেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। দিন চারেক আগে বাড়ি বেপাত্তা হওয়ার পর ঘরে না ফিরলেও তা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছিল কি না অথবা ওই ক্লাবঘরেই কেন পলাশ গেলেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy