পর পর ঘটা চুরির কিনারা করল পুলিশ। চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাজকুমার মণ্ডল, নির্মল হালদার, শেখর দাস, রমেন মণ্ডল, গোলাম ওরফে বাবলু মণ্ডল। ধৃতদের থেকে দু’টি পাখা, ছ’টি মোবাইল, তিনটি টিভি এবং প্রচুর রুপোর গয়না উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতদের বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক প্রত্যেকে সাত দিন পুলিশ হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরুণ হালদার এ দিন বারাসতে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ধৃতদের বিশেষত্ব হচ্ছে তারা চুরির জন্য দিনের বেলাকে বেছে নিত। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রে অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কি না জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাসে হাবরা, অশোকনগর, বারাসত-সহ কয়েকটি এলাকায় পর পর চুরির ঘটনা ঘটছিল। দিন কয়েক আগে অশোকনগরের প্রফুল্লনগর, হাবরার হিজলপুকুর এবং বাণীপুর এলাকায় চুরি হয়। প্রতিটি চুরির সময়েই বাড়ি ফাঁকা ছিল। বাণীপুর এলাকায় যে বাড়িতে চুরি হয় সেটি মাত্র দু’ঘণ্টা ফাঁকা ছিল। তার মধ্যেই চুরি হয়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সব কটি চুরির ক্ষেত্রেই বাড়ির পিছনের দরজা ভাঙা হয়েছে এবং চুরির সময় হল দিনের বেলা।
চোরেদের সন্ধান পেতে সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের দিয়ে সাইকেল বাহিনী তৈরি করে হাবরা থানার পুলিশ। তারা বিভিন্ন পাড়ায় ঘুরতে শুরু করে। এলাকায় কোনও বাড়ি ফাঁকা থাকলে পুলিশকে জানাতে বলা হয়। এ নিয়ে মাইকে প্রচার চলে। এলাকার ক্লাবগুলিকে সতর্ক করা হয়েছিল। ফল মেলে হাতেনাতে। সোমবার সকালে পুলিশ জানতে পারে, বাণীপুর শ্মশানে কয়েকজন দুষ্কৃতী মদ্যপান করতে করতে চুরি নিয়ে আলোচনা করছে। খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই শ্মশানে গিয়ে রাজকুমার মণ্ডল নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিরা তখন পালিয়ে গেলেও রাজকুমারকে জেরা করে নির্মল হালদার, শেখর দাস, রমেন মণ্ডল, বাবলু মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের সবার বাড়ি হাবরা এবং অশোকনগর থানা এলাকায়।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে তারা আগে পায়ে হেঁটে এলাকায় ঘুরে ফাঁকা বাড়ির খোঁজ নিত। তার পর ফাঁকা বাড়ির পিছনের দরজা ভেঙে ঢুকে চুরি করত। চোরাই সামগ্রীগুলি মিনি ট্রাকে ভর্তি করে অশোকনগর, দত্তপুকুর এবং মধ্যমগ্রামে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করত। মিনি ট্রাকটির খোঁজে তল্লশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy