অলোক দাস।—ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
এ দেশ থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচারের কারবার চালানোর জন্য সীমান্তের গ্রামে আস্তানা গেড়েছিল আন্তর্জাতিক এক পাচারকারী। তাকে ধরতে পুলিশ একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশ বাড়ি ঘিরে ফেলেছে দেখতে পেয়ে ওই দুষ্কৃতী একতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে দৌড়তে শুরু করে। কয়েক কিলোমিটার পথ তাড়া করে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অলোক দাস নামে ওই পাচারকারীকে।
রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার বাজিতলা এলাকায়। অলোকের বাড়ি কল্যাণীর দীনবন্ধুপল্লি এলাকায়। তার কাছ থেকে ৫ লিটার তরল মাদক আটক করেছে পুলিশ। জামাল মণ্ডল নামে এক পাচারকারীকে এই মাদক হাতবদল করার কথা ছিল অলোকের। ধৃতকে সোমবার বারাসত জেলা আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় দশ বছর ধরে মাদক পাচারের কাজ করে আসছে অলোক। অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা থেকে গাড়ি-ভর্তি করে সীমান্তে গাঁজা আনত অলোক। উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার সীমান্ত এলাকায় গাঁজা পাচারের কারবার সে-ই নিয়ন্ত্রণ করত। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্থানীয় ভিড়ে এলাকার বিস্তীর্ণ জলাজমি পেরোলোই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া। অলোক ওই এলাকা দিয়ে গাঁজা পাচারের ‘করিডর’ তৈরি করে ফেলেছিল। সীমান্তে ও পারে বাংলাদেশি পাচারকারীরা জড়ো হত। অলোক কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে গাঁজা ছুড়ে পাঠিয়ে দিত। এর আগে ২০১৭ সালে বনগাঁ থানার পুলিশ অলোককে তরল মাদক পাচারের সময়ে গ্রেফতার করেছিল। দীর্ঘ দিন জেল খেটে সে জামিন পায়। জেল থেকে বেরিয়ে গাঁজা পাচার শুরু করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy