বছর তিনেক আগে মধ্যমগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েও জামিন পেয়ে গিয়েছিল সে। খুনের পর খুন এবং তোলাবাজিতে অভিযুক্ত সেই বিজন নন্দী ওরফে রাখালকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বুধবার মধ্যমগ্রাম থেকেই গ্রেফতার করল উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ। রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার সঙ্গে মধ্যমগ্রামেও শনিবার পুরভোট হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাখালের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে চাপান-উতোর শুরু হয়ে গিয়েছে।
২০১২-য় মধ্যমগ্রামের দোহারিয়া এলাকায় জোড়া খুন ছাড়াও বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিল রাখাল। জোড়া খুনের পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। তৃণমূলের একাংশ তার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। কয়েক মাস পরে জামিন পেয়ে যায় রাখাল। পুলিশের বক্তব্য, পুরভোটে অশান্তির আশঙ্কায় ওই অভিযুক্তকে ফের গ্রেফতার করা হয়েছে। এসপি তন্ময় রায়চৌধুরী এ দিন বলেন, ‘‘ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু বুলেটও উদ্ধার করা হয়েছে।’’
মধ্যমগ্রাম পুরসভার ন’নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন বিনোদ সিংহ ওরফে রিঙ্কু। এ দিন বারাসতে সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএম নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্য জানান, জোড়া খুনে বিনোদও অন্যতম অভিযুক্ত। ‘‘বিনোদকে ফেরার দেখিয়ে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। আবার তাকেই ভোটে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। রাখাল ওই বিনোদের ঘনিষ্ঠ। রাখাল ধরা পড়ায় প্রমাণিত হল, তৃণমূল সমাজবিরোধী ও অস্ত্র নিয়ে ভোটে লড়ছে,’’ বলেন নেপালদেববাবু।
সিপিএম নেতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নেপালদেববাবুর দিকে পাল্টা তোপ দেগে তিনি এ দিন বলেন, ‘‘মজিদ মাস্টারের মতো অপরাধীদের ভোটে দায়িত্ব দিয়েছে সিপিএম-ই।’’ আর রাখালের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রীর বাঁধা গতের মন্তব্য, ‘‘পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে।’’
জোড়া খুনে রাখাল ও বিনোদ দু’জনেই অভিযুক্ত। তা হলে শুধু রাখালকে ধরা হল কেন? এসপি তন্ময়বাবু বলেন, ‘‘বিনোদ সিংহ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছে। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy