Advertisement
E-Paper

ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকেই অভিযোগ, দাবি বাপ্পার

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারক পরিবারের লোকজনকে ২২ ফেব্রুয়ারি হোম থেকে নাবালককে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিহত জওয়ানদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানিমূলক পোস্ট করা ও মিছিল করার অভিযোগে হাবড়া থানার পুলিশ রবিবার রাতে এক কলেজ পড়ুয়া নাবালককে আটক করে। তাকে সোমবার বিধাননগরের জুভেনাইল আদালতে তোলা হলে বিচারক বারাসতের একটি হোমে পাঠিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারক পরিবারের লোকজনকে ২২ ফেব্রুয়ারি হোম থেকে নাবালককে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেছেন।

ওই কিশোরের সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্ট দেখে আক্রামপুর বাসিন্দা বাপ্পা রায় নামে এক যুবক তার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের জেরেই গ্রেফতার করা হয় কিশোরকে।

অভিযোগের পরে পরেই নাবালককে গ্রেফতার করায় পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পুলিশের যুক্তি, নাবালক হওয়ায় ছেলেটিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হয়। কারণ, এলাকায় যে জনরোষ তৈরি হয়েছিল, তার জেরে ছেলেটির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারত বলে মনে করা হয়েছিল। ছেলেটি এখনই এলাকায় ফিরলে সেই আশঙ্কা আচে মনে করেই জুভেনাইল আদালতের বিচারক তাকে কয়েক দিন হোমে রাখা নির্দেশ দিয়েছেন বলেই ব্যাখ্যা পুলিশের।

প্রশ্ন উঠছে, তা হলে ছেলেটির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হবে কেন? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে কি মামলা তুলে নেওয়া হবে? সে প্রশ্নের অবশ্য নির্দিষ্ট উত্তর নেই পুলিশ কর্তাদের কাছেও। কিন্তু কে এই অভিযোগকারী বাপ্পা?

বিজেপি নেতা-কর্মীদের ফোন করেই বাপ্পার ঠিকানা মিলল। বাড়ি গিয়ে জানা গেল, তিনি নেই। পরে অবশ্য বাপ্পা নিজেই ফোনে যোগাযোগ করেন আনন্দবাজারের সঙ্গে। বলেন, ‘‘ওই ছেলেটি ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট করেছিল জওয়ানদের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত তা জানতে পারি। পাড়া-প্রতিবেশীরা কেউই ও সব কথা মেনে নিতে পারেননি। তাই ব্যক্তিগত খারাপ লাগা থেকেই অভিযোগ করেছি।’’

পেশায় গৃহশিক্ষক বাপ্পার আরও বক্তব্য, ‘‘আমার অভিযোগ করার সঙ্গে রাজনীতিকে জড়াবেন না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে অভিযোগ করেছি।’’

Facebook Social Media
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy