E-Paper

অতিবৃষ্টির জেরে ইছামতীতে ডুবেছে বাঁশের সাঁকো, দুর্ভোগ

সাঁকোটির একদিকে বালির মাঠ গ্রাম, অন্যদিকে সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েতের চরমণ্ডল গ্রাম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৫ ০৮:৪১
ডুবে গিয়েছে বাঁশের সাঁকো। বাগদার বালির মাঠ এলাকায়।

ডুবে গিয়েছে বাঁশের সাঁকো। বাগদার বালির মাঠ এলাকায়। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

অতিবৃষ্টির জেরে ইছামতীর জলস্তর বেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগের অন্ত নেই বনগাঁ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের। বাগদার মালিপোঁতা পঞ্চায়েতের বালির মাঠ এলাকায় ওই নদীর জলে ডুবেছে বাঁশের সাঁকোটিও। ফলে, যাতায়াতে নাজেহাল হচ্ছেন গ্রামবাসী। তাঁরা সাঁকোর জায়গায় পাকা সেতুর দাবি তুলেছেন।

সাঁকোটির একদিকে বালির মাঠ গ্রাম, অন্যদিকে সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েতের চরমণ্ডল গ্রাম। ওই দুই গ্রামের বাসিন্দারা তো বটেই, আশপাশের বিজয়নগর, দেয়াড়া, সন্তোষা কলোনি, নলডুগারি, মাগুরকোনা, পুস্তিঘাটা-সহ আরও কিছু গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দার যাতায়াতের অন্যতম বড় মাধ্যম ওই সাঁকো। সাঁকো দিয়ে চাষিরা হাটবাজারে ফসল নিয়ে যান। রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যায়। হাসপাতাল, থানা, ব্লক অফিস, স্কুল-কলেজ— সবই চরমণ্ডলের দিকে।

গ্রামবাসীদের সেতুর দাবি নিয়ে বাগদার বিডিও প্রসূন প্রামাণিক জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো আছে। রবিবার বালির মাঠে গিয়ে দেখা গেল, সাঁকো দিয়ে মোটরবাইক, ভ্যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কয়েক জন জলমগ্ন সাঁকো দিয়ে বিপদের ঝুঁকি নিয়েই হেঁটে যাতায়াত করছেন। সাঁকোর বাঁশের ফাঁকে পা আটকে যাওয়ায় এক ছাত্র জখম হয়।

সাঁকোটি প্রায় ১৩০ মিটার লম্বা। গ্রামবাসীরা জানান, কয়েক বছর আগে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁরা পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে এসেছিলেন। বালির মাঠের বৃদ্ধ আয়ুব নবি মণ্ডল জানান, প্রায় ২০ বছর আগে এখানে নৌকা চলত। তারপর গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ করে সাঁকোটি তৈরি করেন। রক্ষণাবেক্ষণও গ্রামবাসীরাই করে আসছেন। সঞ্জয় বিশ্বাস নামে এক যুবকের কথায়, ‘‘পাকা সেতুর জন্য একবার মাটি পরীক্ষা হয়েছিল। তারপর আর কাজ এগোইনি। আমরা চাই পাকা সেতু তৈরি করে দিক সরকার।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bagda

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy