Advertisement
০৫ অক্টোবর ২০২৩
gangasagar

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো পুনর্বাসন পাচ্ছেন ওঁরা

এক বছর পরে প্রতিশ্রুতি মতো পাট্টা মেলার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের তরফে পরিবারগুলির জন্য বিকল্প আয়ের সুযোগও তৈরি করা হয়েছে।

কথা মত পুনর্বাসন গঙ্গাসাগর।

কথা মত পুনর্বাসন গঙ্গাসাগর।

সমরেশ মণ্ডল
গঙ্গাসাগর শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩৮
Share: Save:

কপিলমুনি মন্দিরের পাশে সরকারি জায়গা জবরদখল করে থাকা আটটি পরিবারের পুনর্বাসনের জট কানে পৌঁছেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এক বছর আগে মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এসে চলে গিয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে। পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পুনর্বাসনের।

এক বছর পরে প্রতিশ্রুতি মতো পাট্টা মেলার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের তরফে পরিবারগুলির জন্য বিকল্প আয়ের সুযোগও তৈরি করা হয়েছে। বাড়ির পাশের জায়গায় পাঁচটি নতুন হোম স্টে কটেজ তৈরি করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। সেই কটেজগুলিতে পুণ্যার্থীরা থাকতে পারবেন। ভাড়ার টাকা পাবে পরিবারগুলি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুনর্বাসন পাওয়া আটটি পরিবারের মধ্যে পাঁচটি পরিবারের জন্য গঙ্গাসাগরের ১ নম্বর রাস্তার কলোনিপাড়া এলাকায় সরকারি জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি তিনটি পরিবারের নিজস্ব জমিতেই তৈরি হচ্ছে বাড়ি।

পাঁচটি পরিবারকে তিন শতক জমির উপরে নতুন বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, প্রতিটি পরিবারকে তিন শতক করে জায়গা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেই তৈরি করে দেওয়া হয়েছে শৌচালয়, নলকূপ।

মঙ্গলবার কলোনিপাড়ায় গিয়ে দেখা গেল, বাড়ির ভিতের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে পিলার তোলার কাজ। বাড়ি পেয়েছেন বালুকাশিল্পী দেবতোষ দাস। তিনি বলেন, ‘‘বালির উপরে বিভিন্ন জিনিস করেই সংসার চলে। এই অবস্থায় মন্দিরের পাশ থেকে তুলে দিলে বাড়ি করার আমাদের সামর্থ্য ছিল না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হওয়ায় আমরা খুশি। বিকল্প আয়ের রাস্তাও খুলল।’’

দেবতোষের স্ত্রী কাকলি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। প্রশাসনের তৈরি করে দেওয়া কটেজে পুণ্যার্থীদের থাকার পাশাপাশি তাঁদের রান্না করে খাওয়ানোর পরিকল্পনা করেছি।’’

পুনর্বাসন পাওয়া অনুপম দোলুই কথা বলতে পারেন না। দিনমজুরি করেন। বিকল্প আয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় তিনিও খুশি বলে আকারে-ইঙ্গিতে জানালেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করা হবে। আজ, বুধবার এই পরিবারেরগুলির সঙ্গে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে পারেন বলে প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে।

সাগরের বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতির কয়েক মাসের মধ্যে পরিবারগুলির হাতে পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ি তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। দ্রুত তা শেষ হলে পরিবারগুলির হাতে দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE