Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
River

গোসাবায় নদীবাঁধে ধস

বুধবার রাতের জোয়ারে গোসাবার রাঙাবেলিয়া পঞ্চায়েতের একাধিক জায়গায় বিদ্যাধরী ও গোমর নদীর বাঁধে ধস নেমেছে।

নদীবাঁধ মেরামত চলছে রাঙাবেলিয়ায়। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

নদীবাঁধ মেরামত চলছে রাঙাবেলিয়ায়। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোসাবা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২০ ০৩:৪৯
Share: Save:

অমাবস্যার কটালের জলে বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল না ঢুকলেও কার্যত গত দু'দিনে গোসাবা ব্লকের বেশ কয়েকটি জায়গায় নদী বাঁধে ধস নেমেছে। দ্রত গতিতে মেরামতির কাজ শুরু হলেও নদীবাঁধের দশা নিয়ে চিন্তিত এলাকাবাসী।

বুধবার রাতের জোয়ারে গোসাবার রাঙাবেলিয়া পঞ্চায়েতের একাধিক জায়গায় বিদ্যাধরী ও গোমর নদীর বাঁধে ধস নেমেছে। ধস নেমেছে কুমিরমারি গ্রামের রায়মঙ্গল নদীর বাঁধেও। এ ছাড়া, পাখিরালয়, কচুখালি, কালিদাসপুর এলাকাতেও নদী বাঁধে ধস নেমেছে। প্রশাসনের দাবি মরা কটাল শুরু হওয়ায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢোকার আশঙ্কা কম। তবে আগামী ভরা কটালে জল বাড়লে বিপদ হতে পারে। আর সেই আশঙ্কা করে ইতিমধ্যেই যে সমস্ত এলাকায় বাঁধে ধস নেমেছে, সেখানে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। কোথাও গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে নদী বাঁধ মেরামতি করা হচ্ছে। কোথাও সেচ দফতর এই মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছে।

গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, “এই কটালে কোথাও বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল না ঢুকলেও অনেক জায়গাতেই বাঁধের খারাপ অবস্থা। বিশেষ করে রাঙাবেলিয়া এলাকায় নদী বাঁধ বেহাল। এই কটালে রক্ষা পেলেও আগামী কটালে বিপদ বাড়তে পারে। তাই গোসাবা বিধানসভার অন্তর্গত ১৪টি পঞ্চায়েতের প্রধান ও সেচ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বুধবার বৈঠক করে দ্রুত বাঁধ মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র বলেন, “আমপানে গোসাবা ব্লকের অনেক জায়গাতেই বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে সেই সব এলাকায় বাঁধ মেরামতি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু নতুন করে কটালের জলস্ফীতিতে বেশ কয়েক জায়গায় আবারও ধস নেমেছে। তবে বাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়ে গ্রামে জল ঢোকেনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

River Dam Gosaba
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE