টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ মাটিয়ায়। —নিজস্ব চিত্র।
মাত্র পাঁচ টাকাকে কেন্দ্র করে গোলমাল। তার জেরেই বসিরহাটের মাটিয়ায় বিশ্বজিৎ মুণ্ডা নামে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যুবকের দেহের ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার পরিবারের কাছে দেহ ফিরিয়ে হয়। এর পরই রাতে দেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন এলাকাবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের অন্তর্গত মাটিয়া থানা এলাকায়। রাত প্রায় সাড়ে ৮টার কিছু সময় পরে মাটিয়া থানার কাছে টাকি রোড অবরোধ করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ধৃতদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং অন্য এক অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করতে হবে। দু’ঘণ্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত অবরোধ চলছে। মাটিয়া থানার পুলিশকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তবে নিজেদের দাবিতে অনড় অবরোধকারীরা।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল বুধবার। প্রতি দিনের মতোই বুধের সকালে মালতীপুর স্টেশনে সাইকেল রেখে কলকাতায় কাজে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। সন্ধ্যায় মালতীপুর স্টেশনে নেমে সাইকেল গ্যারাজ থেকে সাইকেল নিতে যান তিনি। সেই সময় সাইকেল ভাড়া বাবদ পাঁচ টাকা নিয়ে গ্যারাজ মালিকের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, গ্যারাজের মালিক আরও তিন জনকে জুটিয়ে বিশ্বজিৎকে বাঁশ দিয়ে মারধর করেন। মারধরের জেরে ওই যুবক জ্ঞান হারালে তাঁকে পাশের খালে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বিশ্বজিৎকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর পরিবারের লোকেরা মাটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্বজিতের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অবশেষে বুধবার রাতে মালতীপুর স্টেশন সংলগ্ন একটি খাল থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের দেহের ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার বসিরহাট হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় দেহ। এর পর দেহটি প্রথমে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে আবার নিয়ে আসা হয় মাটিয়া থানার সামনে। শুরু হয় থানা সংলগ্ন টাকি রোড অবরোধ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ঘটনায় অপর অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করতে হবে এবং ধৃতদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy