‘গতিধারা’ প্রকল্প নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল দেগঙ্গায়। যার জেরে রাস্তা অবরোধে নাকাল হলেন নিত্যযাত্রীরা। স্যালাইন হাতে অবরোধ পেরোতে দেখা গেল রোগী ও তাঁর পরিবারকে। মঙ্গলবার সকালে টানা দু’ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিল দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় টাকি রোড। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের গতিধারা প্রকল্পে দেগঙ্গায় ২০০টি ডিজেল অটো চালু হয়েছিল সোমবার। দেগঙ্গার চাকলা লোকনাথ মন্দির থেকে হাড়োয়া রোড স্টেশন পর্যন্ত চলার কথা অটোগুলির। মঙ্গলবার সেই অটো বন্ধের দাবিতেই তৃণমূলের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল করে। বেড়াচাঁপা চৌমাথায় টাকি রোডের উপরে রাস্তায় শুয়ে পড়েন কিছু মোটর ভ্যান ও অটো চালক।
স্থানীয় তৃণমূল অটো ইউনিউনের সভাপতি কাজি জামালউদ্দিন বলেন, ‘‘দেগঙ্গার চৌরাশি থেকে বেড়াচাঁপা হয়ে হাড়োয়া রেলস্টেশন পর্যন্ত প্রায় ২০০টি অটো অনুমোদন আগে থেকে রয়েছে। এর মধ্যে ১১০টি অটো চালানো গেলেও যাত্রীর অভাবে বাকি ৮০-৯০টি অটো বসেই থাকে। রুজি-রোজগার হয় না। তার উপরে আরও ২০০টি অটো চালানো হলে সকলের পেটের ভাত মারা যাবে।’’ অটো চালক নজরুল আলি বলেন, ‘‘যা রোজগার হয় তাতে ঋণের টাকা শোধ করে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। তার উপরে আরও গাড়ি রাস্তায় চললে খাবার জুটবে না।’’ বেড়াচাঁপা ১ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোরশেদ বিশ্বাস বলেন, ‘‘তৃণমূলের কিছু দালাল ২৫-৩০ হাজার টাকা নিয়ে এই অটো চলাচলে সহযোগিতা করেছে। জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে কাজ হয়নি। আমাদের বিধায়ক রহিমা মণ্ডলও কোনও কথা শুনতে চাননি।’’ তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর সাধের গতিধারা প্রকল্পের বিরোধী নন তাঁরা। কিন্তু গরিবের পেটে লাথি মারা যাবে না।
রহিমা এ দিন বলেন, ‘‘আমার নামে যাঁরা অভিযোগ তুলছেন, তাঁরা আসলে তৃণমূল নন। তৃণমূল কখনও রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ সমর্থন করে না। যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর গতিধারা প্রকল্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে, তাঁরাই আসল তোলাবাজ। পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কোনও ভাবেই এই প্রকল্পকে রোখা যাবে না।’’