যশোর রোড সম্প্রসারণের জন্য গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গাছ বাঁচাতে রবিবার বনগাঁ থেকে বারাসত পর্যন্ত পদযাত্রা করল যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটি।
‘সবুজ ধ্বংস করে উন্নয়ন নয়’— ফেস্টুন, পোস্টার নিয়ে বনগাঁর ৩৫ নম্বর সড়ক ধরে বারাসত পর্যন্ত এই মিছিল হয়। ওই কমিটির সদস্য রাহুল দে বিশ্বাস জানান, যশোর রোডের দু’পাশে থাকা প্রাচীন গাছগুলিকে বাঁচানোর জন্যই তাঁদের এই মিছিল। এই মিছিলে যোগ দেন কবি বিভাস চৌধুরী। শুধু তিনি নন, এ দিন উত্তরবঙ্গের লাটাগুড়ি থেকেও গাছপ্রেমীরা এই মিছিলে পা মেলান। এই মিছিলকে বহু মানুষ উৎসাহ দিয়েছেন। মিছিলে হাঁটা মানুষদের লেবু জল ও বাতাসা খাইয়েছেন স্থানীয়রা। কেউ আবার এই প্রতিবাদ মিছিলকে কটূক্তিও করেছেন। বিভাসবাবুর অভিযোগ, গাইঘাটা কলাসীমা বাজারের কাছে বাইকে করে এসে কয়েকজন যুবক মিছিলে হাঁটা মানুষকে হুমকি দেয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে খুন করার কথাও বলে। তবু আমরা শান্ত ছিলাম।’’
যশোর রোড সম্প্রসারণের জন্য প্রায় চার হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তারপরই গাছ কাটা রুখতে ইতিমধ্যেই সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ পথে নেমেছেন।
রাহুলবাবুর কথায়, ‘‘আমরাও উন্নয়ন চাই। কিন্তু তা গাছ কেটে নয়। আমরা চাইছি সবুজ উন্নয়ন। গাছগুলিকে মাঝখানে রেখে দু’পাশের রাস্তা চওড়া করা যেতে পারে।’’ যশোর রোড়ের ধারে এই প্রাচীন গাছগুলির কোনও বিকল্প হতে পারে না। একটি গাছ কেটে যদি তার পরিবর্তে দু’শোটি গাছও লাগানো হয়। তাও এর সমতুল্য হবে না বলে দাবি এই কমিটির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy