ভাঙড়ে আবার রাজনৈতিক অশান্তি। বোমাবাজির অভিযোগ ঘিরে একে অপরকে নিশানা করল তৃণমূল এবং আইএসএফ। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের শানপুকুর অঞ্চলের চণ্ডীহাট এলাকায় বোমাবাজি হয়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, আইএসএফের স্থানীয় বুথ সভাপতি ইছা মোল্লার বাড়ি লক্ষ্য করে দুটো বোমা ছোড়া হয়েছিল। একটি বোমা বাড়ির জালনায় লেগে ফেটে যায়। অন্যটি বাড়ির সামনে ফাটে। প্রবল শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা পাড়া। বিস্ফোরণের শব্দে অনেকে ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। দেখা যায়, বোমা বিস্ফোরণে ওই নেতার বাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
রাত থেকে ওই বোমাবাজির ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চণ্ডীহাটে। আইএসএফের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতে প্রত্যহ এলাকায় বোমাবাজি করছে তারা। বেছে বেছে হামলা করছে তাদের নেতা এবং কর্মীদের উপরে। যদিও অভিযোগ নস্যাৎ করে শাসকদল জানিয়েছে, ভাঙড়কে বছরভর অশান্ত করে রেখেছে আইএসএফ-ই। এই তরজার মধ্যে বোমাবাজির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন:
সকাল থেকে এলাকায় পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কী কারণে বোমাবাজি, কারা এই ঘটনায় যুক্ত, কোথা থেকে বিস্ফোরক মিলছে, এই সমস্ত তথ্য বার করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই সমস্ত অশান্তির সঙ্গে তাদের কোনও যোগসূত্র নেই। আইএসএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকেই বোমাবাজি, মারামারি ইত্যাদি ঘটনা ঘটছে এলাকায়।