আবহাওয়া একটু ভাল হয়ে বৃষ্টি ধরতেই খোঁজ মিলল কয়েকটি ট্রলারের।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ সেগুলিকে উদ্ধার করে অনেকটা উপকূলের দিকে এগিয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ‘এফবি গঙ্গাময়ী’, ‘এফবি দয়াময়ী’ এবং ‘প্রসেনজিৎ’ নামে তিনটি ট্রলার ইন্দো-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই সেগুলি থেকে ৪৫ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে কাকদ্বীপে এসে পৌঁছনোর কথা। তবে এখনও ৩১ জন মৎস্যজীবী-সহ দু’টি ট্রলারের সন্ধান মেলেনি।
মৎস্য দফতরের সহ অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিৎকুমার বাগ বলেন, ‘‘ডর্নিয়ার বিমান নিয়েও এ দিন সকালে বঙ্গোপসাগরে খোঁজ চালায় উপকূলরক্ষী বাহিনী। তারপরেই তিনটি ট্রলারের খোঁজ পাওয়া যায়। এখনও নিখোঁজ দু’টি ট্রলারের মধ্যে একটির সঙ্গে কাল অল্প সময়ের জন্য ওয়্যারলেস যোগাযোগ হয়েছিল। তারপরেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আরও একটির কোনও খোঁজ নেই।’’
বৃহস্পতিবার সন্ধে পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ‘এফবি প্রসেনজিৎ-১’ এবং ‘এফবি মহাগৌরী’ নামে ওই দু’টি ট্রলারের। সেখানে রয়েছেন মোট ৩০ জন। ইউনাইটেড ফিসারমেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বিজন মাইতি এবং সতীনাথ পাত্ররা বলেন, ‘‘ওই ট্রলারগুলি ঝড়ের দাপটে বাংলাদেশের দিকে ছিটকে গিয়েছে বলে আমাদের অনুমান। তাই সেগুলিকে ফেরানোর জন্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করুক।’’
গতকাল রাতেই ‘এফবি মা গঙ্গা’ এবং ‘এফবি জয়বাবা লোকনাথ’-এর সন্ধান পায় মৎস্যজীবীদের পাঠানো উদ্ধারকারী ট্রলারগুলি। ‘এফবি মা গঙ্গা’ ফলতার নৈনানে থেকে গিয়েছিল। সেটি ফিরছে সেখানেই। অন্যটিকে ফ্রেজারগঞ্জে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ওই দু’টি ট্রলার ঝড়বৃষ্টির দাপটে আরও গভীর সমুদ্রের দিকে চলে গিয়েছিল। কারণ উপকূলের দিকে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট বেশি থাকে।
ট্রলারের খোঁজ মিলতেই কাকদ্বীপের পূর্ব গঙ্গাধরপুরের মৎস্যজীবীপল্লিতে খুশির বাতাবরণ দেখা দিয়েছে। অনেক বাড়িতেই কার্যত হাঁড়ি চড়ছিল না এ ক’দিন। সেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে এখনও অনেক মৎস্যজীবী বাইরে। ‘এফবি পল্লবী’র মাঝি হরি দাসের এখনও কোনও খোঁজ নেই। স্বাভাবিক ভাবেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে হরি-সহ নিখোঁজ অন্য মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy