দিন দু’য়েক আগে সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। গ্রেফতারও হন ওই নেতা। কিন্তু অভিযোগের ২৪ ঘণ্টা পরেই বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দিতে ওই নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নেন মহিলা। গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে সিপিএম নেতার জামিন মঞ্জুর করল আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মথুরাপুরের জোনাল কমিটির সম্পাদক রহিসউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। বছর খানেক ধরেই দলীয় অফিসে রহিসউদ্দিন ওই মহিলাকে ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ ছিল। ওই দিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল রহিসউদ্দিনকে। শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ওই মহিলা বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দিতে বলেন, ‘‘তাঁর সঙ্গে রহিসের সর্ম্পক খুবই ভাল। কয়েকদিন আগে ঝগড়া হয়েছিল। রাগের চোটে তিনি থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। রহিস কোনও দিন তাঁকে ধর্ষণ করেননি।’’ সোমবার আদালতে এই জবানবন্দিই বিচারকের সামনে পুলিশ পেশ করে। এরপরেই জামিন মঞ্জুর হয় সিপিএম নেতার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীকান্তপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা বছর খানেক ধরে মথুরাপুরের জোনাল কমিটির অফিসে সপরিবারে থাকেন। শাসকদলের অত্যাচারে তিনি গ্রামছাড়া বলে অভিযোগ। শাসকদল থেকেই তাঁকে দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছে বলে মনে করছেন সিপিএমের একাংশ।
এক তদন্তকারী অফিসার জানান, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ওই মহিলা মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। তারপর গোপন জবানবন্দিতে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ডায়মন্ড হারাবার সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে রহিস অবশ্য ওই মহিলার আচরণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শাসকদলের চাপে পড়েই ওই মহিলা মিথ্যা অভিযোগ এনেছিলেন। আমরা ওই মহিলার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কবর।’’ ওই মহিলার সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর ফোন বন্ধ ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy