বিপত্তি: শ্রম দফতরের সামনে জল। ছবি: শান্তশ্রী মজুমদার
শুক্রবার রাতে প্রবল বৃষ্টি আরও একবার বেআব্রু করে দিল মহকুমা সদর কাকদ্বীপের নিকাশির বেহাল চিত্রটা। তিনটি পঞ্চায়েত নিয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল কাকদ্বীপ শহরের বিভিন্ন জায়গায় এ দিন হাঁটু সমান জলে ডুবে যায়। পরে অবশ্য কিছুটা জল নেমেছে। তবে মানুষের ভোগান্তি ছিল চরমে।
পুলিশ জেলা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। সুন্দরবন জেলা হওয়ার পথে এক ধাপ করে এগোচ্ছে কাকদ্বীপ। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে এখনও কোনও মাস্টারপ্ল্যান পঞ্চায়েত সমিতির হাতে নেই। তবে তা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুদ্ধদেব দাস।
কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্য নগর অঞ্চলের অফিস পাড়া বলতে শ্রম দফতর এবং সেচ দফতরের অফিস। দু’টি জায়গাতেই এ দিন জল জমে যায় গতরাতের বৃষ্টিতে। কাজকর্ম প্রায় আগামী তিন দিনের জন্য পন্ড। নিকাশি নালা বুজিয়ে বাড়িঘর তৈরি হওয়ার জেরে শ্রম দফতরের কাছের নিকাশি অকেজো। জল ডিঙিয়ে অনেকেই আসতে চান না দফতরে। সেচ দফতরেও সামনেও এ দিন অনেকটা জল হয়ে গিয়েছে। সকালবেলা প্রশাসনিক কর্তাদের আবাসনের সামনেও ছিল এক হাঁটু জল।
ও দিকে, কাকদ্বীপ বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের সামনের মাঠে এ দিন জলে ভরে গিয়েছে। জল রাস্তা উপচে স্টেডিয়ামের দিকে যাওয়ার রাস্তায় এসে পড়ে। সমস্যা তৈরি হয় বুদ্ধপুরের দিকেও। বেশ কয়েকটি পাড়া জলমগ্ন হয়ে পড়ে কাল রাত থেকেই। তবে এখানে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের তরফে নিকাশি ব্যবস্থা চালু করার জন্য নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
একই সমস্যা হয়েছে রামকৃষ্ণ পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকায়। পূর্ব গঙ্গাধর পুরের দিকে অনেক জায়গাতেই জল জমে গিয়েছিল। তবে ভেতরের দিকে বেশ কিছু জায়গায় এখন নতুন ঢালাই রাস্তার প্রকল্পে পাশে নর্দমারও পরিকল্পনা রেখেই পাশ হচ্ছে সমস্ত প্ল্যান। হচ্ছে নিকাশি ব্যবস্থা।
বুদ্ধদেববাবুর কথায়, ‘‘পুরসভা হয়নি এখনও। পঞ্চায়েতের পক্ষে এত বড় পরিকল্পনা অনেক ব্যয়সাপেক্ষ। তাই পূর্ত দফতর থেকেই পুরো কাকদ্বীপ শহরের নিকাশির জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ চলছে।’’
সূত্রের খবর, বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। অবস্থানগত ভাবে কাকদ্বীপের নিকাশির মূল ফুসফুস কালনাগিনী খাল এবং মুড়িগঙ্গা— দু’টোই শহর থেকে খানিকটা নীচে। কেবলমাত্র একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনাই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy