রক্তদান শিবির, বস্ত্রদান, নানা কিসিমের মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা রাজনৈতিক দলের প্রচার। অনুষ্ঠানের দিন কয়েক আগেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাতিস্তম্ভে মাইক বেঁধে তারস্বরে চলছে প্রচার। নেই শব্দ- বিধি কিংবা প্রশাসনের অনুমতির বালাই। অনেক ক্ষেত্রেই বাতিস্তম্ভের তার থেকে হুকিং করে বিদ্যুৎ নিয়ে চলে প্রচার। শব্দের তাণ্ডব এতটাই যে, পাশের লোকের সঙ্গেও কথা বলতে হচ্ছে চিৎকার করে। কলকাতা উত্তর শহরতলির দমদম থেকে শুরু করে মধ্যমগ্রাম, বারাসত সর্বত্রই শব্দ দূষণে জেরবার বাসিন্দারা।
অনুষ্ঠানের জন্য প্রকাশ্যে মাইক বাজাতে গেলেই মহকুমা শাসকের অনুমতি দরকার হয়। শব্দমাত্রাও বেঁধে রাখতে হয়। তা নিয়ে কেউ অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে এ ভাবে মাইক বাজানোর ব্যাপারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয় না বলেই জানিয়েছেন বারাসতের মহকুমাশাসক পীযূষকান্তি দাস। আর রাস্তায় মাইক বেঁধে প্রচারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টানা মাইক বাজানোর ব্যাপারে আমরা অনুমতিই দিই না।’’
মহকুমা শাসক পীযূষবাবু বলেন, ‘‘কোথায় কেন মাইক বাজানো হচ্ছে সে বিষয়ে পুলিশ নজরদারি চালায়। অভিযোগ পেলে পুলিশ গিয়ে মাইক, মেশিন খুলে নিয়ে আসে।’’ পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দল হোক, কিংবা অনুষ্ঠান, অনুমতি না থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’’
যশোর রোড ধরে দমদম ছাড়িয়ে এয়ারপোর্ট থেকে, বিরাটি, মধ্যমগ্রাম, বারাসতেও চোখে পড়বে একই দৃশ্য। বারাসতের ডাকবাংলো, চাঁপাডালি কলোনি মোড়, হেলা বটতলা প্রায়শই কোনও না কোনও কর্মকাণ্ডের আগাম ঘোষণা চলে। সঙ্গে তাল মিলিয়ে গান, বিজ্ঞাপনও। এক চিকিৎসকের কথায়, ‘‘রোগীরা বিরক্ত হন।”
এ ব্যাপারে মহকুমাশাসকের দাবি, ‘‘অনেক সময় সব খবর আসে না বলে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এমন অবস্থা হলেই পুলিশ বা প্রশাসনকে জানাতে বলা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy