মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে নামখানার শিবপুর গ্রামের চাষি পুলিন প্রামাণিকের। পূর্ণিমার কোটালের জলের চাপে গ্রামের স্লুইসগেট ভেঙে জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু জমি ও বাড়িঘর। দীর্ঘ দিন থেকে ওই স্লুইসগেট নিয়ে সমস্যার কথা বলা সত্ত্বেও স্থায়ী ভাবে কাজ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এখন আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।
রবিবার মাঝরাত থেকে চেনাই নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে ওই গ্রামে। রাতে স্থানীয় বাসিন্দারাই বাঁধ আগলে রাখার চেষ্টা করেন। সারা রাত মাটি ফেলা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও জল আটকানো সম্ভব হয়নি। নামখানার বিডিও রাজীব আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা ঘটনার কথা জানি। এলাকায় সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা গিয়েছেন। স্লুইসগেট মেরামতির কাজ চলছে।’’ আপাতত ব্যারিকেড দিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এলাকায়।
গ্রামবাসীরা জানান, অন্তত ১০০ বিঘের মতো জমি, ২৫টিরও বেশি পুকুর চলে গিয়েছে নোনা জলের কবলে। সুখদেব মণ্ডল, ভীম মণ্ডলদের বাড়ি দীর্ঘক্ষণ জলমগ্ন ছিল। ফলে মাটি নরম হয়ে খষে পড়তে শুরু করেছে দেওয়াল। পুলিনবাবু, ‘‘ধান ছাড়াও অনেকটা জমিতে উচ্ছে এবং কাঁচালঙ্কা লাগিয়েছিলাম। সব নষ্ট হয়ে গেল। ঋণ শোধ করব কী ভাবে তাই ভাবছি।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘‘এই স্লুইসগেট নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সমস্যা রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের জানানো হয়েছে। অবিলম্বে এখানে নতুন স্লুইসগেট বসাতে হবে।’’ সোমবার সকাল থেকে জল নামতে শুরু করলেও আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন মানুষ।