দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে স্কুলের মধ্যে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে বিরাটি থেকে ওই শিক্ষককে হাবরা থানার পুলিশ ধরে।
পুলিশ জানিয়েছে, তিনি হাবরার একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক। শুক্রবার ওই ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অবশ্য প্রধান শিক্ষক এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে প্রধান শিক্ষক হিসাবে তিনি স্কুলে যোগ দেন। অতীতে তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনও অভিযোগ নেই। দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের বাড়ি হিজলপুকুরে। সে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ত। পড়াশোনায় ভাল ছেলে বলেই সে স্কুলে পরিচিত।
অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর স্কুলে গিয়েছিল বৃত্তির জন্য নথি ‘অ্যাটেস্টে়ড’ করতে। সে সময় প্রধান শিক্ষক তাকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তখন পুজোর ছুটি চলছিল। প্রধান শিক্ষক ছুটির মধ্যেও স্কুলে আসতেন।
স্কুল পরিচালন সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে পরিচালন সমিতিকে বিষয়টি জানানো হয়। ২ নভেম্বর স্কুল খোলার পরে বিষয়টি নিয়ে পরিচালন সমিতি বৈঠক করে। পরিচালন সমিতির সভাপতি বলরাম পাল জানান, যেহেতু কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সে কারণে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে ডিআইকে জানিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু এর মধ্যেই ওই ছাত্রের বাড়ির থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে ওই সময় প্রধান শিক্ষকের ঘরে কাজ চলছিল।তাই তিনি ওই ছাত্রকে পাশের অন্য একটি ঘরে নিয়ে যান। সে সময় স্কুলে আর কেউ ছিলেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy