Advertisement
E-Paper

স্কুলে মশা মরার কাজ শুরু হাবরায়

প্রফুল্লনগর বিদ্যামন্দির স্কুলের প্রধান শিক্ষক সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘একদিন স্কুলে মশা মারার তেল স্প্রে করলে সমস্যা মিটবে না। নিয়মিত করতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৪০
সচেতন: স্কুল চত্বরে মশা মারার তেল। ছবি: শান্তনু হালদার

সচেতন: স্কুল চত্বরে মশা মারার তেল। ছবি: শান্তনু হালদার

এলাকার পাশাপাশি এ বার হাবরা পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের প্রাথমিক ও হাইস্কুলগুলিতেও মশা মারার কাজ শুরু হল।

পুরসভা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এলাকার ১২টি স্কুলে মশা মারার তেল স্প্রে করা হয়েছে। বহু দিন ধরেই শিক্ষক ও অভিভাবকেরা ওই দাবি জানিয়ে এসেছেন। কারণ, ছেলেমেয়েরা দিনের একটা বড় সময় স্কুলে থাকে। আর ডেঙ্গির মশা দিনের বেলাতেই কামড়ায়। পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস জানিয়েছে, পুর এলাকায় সব মিলিয়ে প্রায় ৭০টি স্কুল রয়েছে। সব জায়গাতেই তেল স্প্রে করা হবে।

প্রফুল্লনগর বিদ্যামন্দির স্কুলের প্রধান শিক্ষক সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘একদিন স্কুলে মশা মারার তেল স্প্রে করলে সমস্যা মিটবে না। নিয়মিত করতে হবে। একই সঙ্গে স্কুল চত্ত্বরে থাকা আগাছাও পরিষ্কার করতে হবে।’’

স্কুলগুলিতে মশা মারার তেল স্প্রে করার কাজ শুরু হলেও পুর এলাকায় সর্বত্র মশা মারার তেল ও কামান দাগা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এমনিতেই শহরের নিকাশির হাল খারাপ। তার উপরে নতুন করে নিম্নচাপের বৃষ্টির ফলে যত্রতত্র জল জমে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্লাস্টিকেও জলও জমে থাকে। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে বাসিন্দাদের দাবি, জমা জল সরানো ও প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।

মশা মারার তেল স্প্রে করা নিয়ে মিশ্র অভিজ্ঞতা এলাকার মানুষের। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু রোড এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল দাসের অভিযোগ, ‘‘এ বার বৃষ্টির আগে আমাদের এলাকায় মাত্র একদিন মশা মারবার তেল স্প্রে করা হয়েছে।’’ তবে কামারথুবা এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক দীপক কুণ্ডুর অভিজ্ঞতা আলাদা। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের এলাকায় পুরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে।’’

বাসিন্দারা জানালেন, পুরসভা থেকে তেল ও কর্মী দেওয়া হলেও কয়েক জন কাউন্সিলর তাঁদের নিজের নিজের এলাকায় দায়িত্ব নিয়ে ওই কাজ করছেন না বলেই সমস্যা দেখা দিয়েছে।

পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০টি মশা মারার মেশিন দিয়ে রোজ ২৪টি ওয়ার্ডেই তেল স্প্রে করা হচ্ছে। কামান দাগা হচ্ছে না, কারণ ধোঁয়ায় বিশেষ কাজ হয় না। পুরপ্রধানের কথায়, ‘‘এক একটি এলাকায় বা বাড়িতে সপ্তাহে একদিন করে মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে। রোজ প্রতিটি এলাকায় তা সম্ভব নয়।’’

এ দিকে, হাবরা ব্লক এলাকার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এ দিন সকাল ৯টা-১১টা পর্যন্ত জেলাশাসকের নির্দেশে মশা মারার কামান দাগা হয়েছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, স্থানীয় পৃথিবা এলাকায় সম্প্রতি যে স্বাস্থ্য শিবির করা হয়েছিল, সেখানে রক্ত পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৬৯ জনের রক্তে এনএস-১ পজিটিভ এসেছে। সরকারি কর্মীরা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হাসপাতালে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করছেন।

বিডিও শুভ্র নন্দীর দাবি, হাবরা ব্লকে নতুন করে জ্বরের প্রকোপ ছড়াচ্ছে না। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, নতুন জ্বরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালেও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমছে বলে সুপার শঙ্করলাল ঘোষ জানিয়েছেন।

school Dengue Mosquito
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy