Advertisement
E-Paper

ভাঙড়ে রাস্তা নিয়ে গন্ডগোল, জখম ১০

রাস্তা নিয়ে বিবাদের জেরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে জখম হলেন প্রায় ১০ জন। কয়েক জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৯
জখম। ভাঙড়ে। ছবি: সামসুল হুদা

জখম। ভাঙড়ে। ছবি: সামসুল হুদা

রাস্তা নিয়ে বিবাদের জেরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে জখম হলেন প্রায় ১০ জন। কয়েক জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের বৈরামপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকায় একটি ১৭ ফুট চওড়া মেঠো রাস্তা দিয়ে গ্রামের লোকজন চলাচল করতেন। সম্প্রতি এক কারখানার মালিক স্থানীয় প্রোমোটারের সাহায্যে রাস্তা-সহ এলাকার কিছু জমি কিনে নেন। এ দিন মাটির রাস্তার পরিবর্তে এলাকায় একটি ৮ ফুট চওড়া ইটের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জমিতে কিছু উদ্বাস্তু পরিবার বাস করতেন। তাঁদের কয়েক জন কারখানার মালিককে জমি বিক্রি করে দেন। ওই জমির মধ্যে ১৭ ফুট রাস্তাটিও পড়ে। গ্রামবাসীরা দাবি করেন, ওই রাস্তাটি যাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। নতুন রাস্তা তৈরির কাজে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, জমি হস্তান্তর বা রাস্তা তৈরিতে মদত দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা তথা ভাঙড় ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহাজান মোল্লার কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান গ্রামবাসীদের একাংশ। সভাপতি নতুন রাস্তার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কাইজার পরে এলাকায় গিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ শুরুর নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ।

এ সবের জেরে শুক্রবার বিকেলে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি বেধে যায়। জখম হন জনা দশেক। তাঁদের স্থানীয় নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামের কিছু লোক আবার শনিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে নালিশ জানিয়ে আসেন।

গ্রামবাসী বাপি গায়েন বলেন, ‘‘আমাদের বাপ-ঠাকুর্দার আমল থেকে গ্রামের মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। হঠাৎ করে প্রোমোটাররা রাস্তা দখল করে কারখানা মালিকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। অন্য দিক দিয়ে সরু ৮ ফুট ইটের রাস্তা করে দিচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানালে কাইজার ও প্রোমোটারের লোকজন আমাদের মারধর করেছে।’’

শাহাজান বলেন, ‘‘ওই এলাকায় একটি পুরনো চওড়া রাস্তা ছিল। যার পরিবর্তে দলের কিছু নেতার মদতে একটি ৮ ফুট নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। তা নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এই নিয়েই গন্ডগোল। পুলিশকে বলব নিরপেক্ষ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।’’

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে কাইজার বলেন, ‘‘ওই এলাকায় কিছু রিফিউজি জমি ছিল। কয়েক জন তা প্রোমোটারের কাছে বিক্রি করে দেন। যা নিয়ে গ্রামের মানুষের সঙ্গে প্রোমোটারের সমস্যা তৈরি হয়। এর সঙ্গে আমি কোনও ভাবেই জড়িত নই। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

Brawl Injury
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy