Advertisement
০২ মে ২০২৪
Detained

‘মাকে বাঁচাতে গিয়ে’ বাবাকে ছুরির আঘাত, আটক কিশোর

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দা, প্রাক্তন এক সেনাকর্মীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর নিয়মিত অশান্তি হত। নাবালক পুত্রের সামনেই স্ত্রীকে তিনি বেধড়ক মারধর করতেন বলে অভিযোগ।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ০৭:৩৪
Share: Save:

বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল নাবালক ছেলের বিরুদ্ধে। বাবার অবস্থা স্থিতিশীল হলেও বুধবার ওই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাটি ব্যারাকপুর কমিশনারেটের নোয়াপাড়া থানার ইছাপুর আনন্দমঠ শ্রীভূমি এলাকার।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দা, প্রাক্তন এক সেনাকর্মীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর নিয়মিত অশান্তি হত। নাবালক পুত্রের সামনেই স্ত্রীকে তিনি বেধড়ক মারধর করতেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে সেই অশান্তি চরমে ওঠে। পুলিশকে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নেশা করে এসে বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে মারধর করার সময়ে পাশের ঘরে থাকা স্কুলপড়ুয়া ছেলে বাবাকে থামতে বলে।

ওই কিশোর পুলিশকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে তার বাবা যখন নেশা করে বাড়ি ফেরেন, তখন সে ঘরে পড়াশোনা করছিল। এর পরেই মায়ের সঙ্গে তার বাবার অশান্তি শুরু হয়। তা দেখে সে দু’জনকে থামাতে যায়। তখন তার বাবা আচমকাই রান্নাঘরে থাকা আনাজ কাটার ছুরি এনে তাকে ভয় দেখাতে থাকেন বলে দাবি কিশোরের। সেই ছুরি সে ছাড়াতে গেলে তার বাবার গলায় ও কোমরে আঘাত লাগে বলে জানিয়েছে কিশোর। এর পরে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রাক্তন ওই সেনাকর্মীকে ব্যারাকপুরের বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। ওই প্রাক্তন সেনাকর্মীর স্ত্রী ও নাবালক ছেলেকে একসঙ্গে বসিয়ে ঘটনার বিষয়ে বিশদে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বুধবার ছেলেটির সঙ্গে কথা বলে যা বোঝা গিয়েছে, তা হল, বাবা-মায়ের অশান্তি ও মাকে নিত্য মারধরের ঘটনায় তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছিল সে। সব দিক খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Detained Knife Attack Family Dispute Teenager
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE