আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃতদের। — নিজস্ব চিত্র।
ক্যানিংয়ে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক আইএসএফ নেতাও। ওই আইএসএফ নেতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সায়াম গাজি, রমজান গাজি এবং রশিদ জমাদার। শনিবার ক্যানিংয়ের গাজিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ধৃতদের মধ্যে রশিদ আইএসএফ-এর অঞ্চল সভাপতি। ধৃত রশিদের স্ত্রী সাইনুর জমাদার বলেন, ‘‘পুলিশ রাত ১টার সময় বাড়িতে গিয়ে আমার স্বামীকে ধরে এনেছে। খুনের অভিযোগ মিথ্যা। আমার স্বামীকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার স্বামী আইএসএফ করে।’’
আইএসএফের ক্যানিং ব্লক সভাপতি মহম্মদ মোর্তজা খান বলেন, ‘‘স্থানীয় বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেছেন, এই খুনে দলীয় যোগ নেই। রশিদ জমাদার নির্দোষ। এই খুনের সঙ্গে আইএসএফের কোনও যোগ নেই। রশিদকে ফাঁসানো হয়েছে চক্রান্ত করে।’’ ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস অবশ্য বলেন, ‘‘পুরনো শত্রুতার কারণেই এই খুন বলে আমার মনে হয়। তবে পুলিশ তদন্ত করছে। নিশ্চয়ই দোষীরা গ্রেফতার হবে।’’
গত শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়ায় নান্টু গাজি নামে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হল তিন জনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy