Advertisement
E-Paper

ভেজাল হলুদ তৈরির চক্রের হদিস, ধৃত ৩

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম গোপাল দাস, রাজকুমার দাস ও মুছা মল্লিক। তাদের বাড়ি ওই এলাকাতেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০৫
বাজেয়াপ্ত: তল্লাশি পুলিশের। —নিজস্ব চিত্র।

বাজেয়াপ্ত: তল্লাশি পুলিশের। —নিজস্ব চিত্র।

ভেজালের তালিকায় সে-ও যে ঢুকে পড়েছিল, জানা গেল এ বার।

মঙ্গলবার সকালে দেগঙ্গা থানার পুলিশ হদিস পেয়েছে ভেজাল হলুদ তৈরির কারবারের। টাকি রোড সংলগ্ন দেগঙ্গা হাট এলাকায় গোডাউন সিল করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কারবারে যুক্ত ৩ জনকে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৪০ কেজি ভেজাল হলুদ, রাসায়নিক, হলুদ পাউডার, চালের গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো, বেসন।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম গোপাল দাস, রাজকুমার দাস ও মুছা মল্লিক। তাদের বাড়ি ওই এলাকাতেই। সকলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মালপত্র পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতে ওই দোকানে গম ভাঙানো হত। বছর তিনেক ধরে সেখানে হলুদ ভাঙানোর কাজ চলছিল বলে জানতেন আশেপাশের এলাকার লোকজন। চাষিরা হলুদ ভাঙানোর জন্য নিয়ে আসতেন। দোকান থেকে গুঁড়ো হলুদ বস্তা-বন্দি হয়ে গাড়িতে চলে যেত বাজারে। স্থানীয় বাজারেও তা বিক্রি করা হত। এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, অনেক কম টাকায় হলুদ বিক্রি হত এখান থেকে। বাজারে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলে এখানে মিলত ৮০ টাকা কেজি দরে। সকলে ভাবতেন, চাষিদের কাছ থেকে হলুদ কিনে সরাসরি বিক্রি করা হয় বলে অনেক কম দামে দিতে পারছে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ব্যাপারটা আদৌ সে রকম ছিল না বলেই জানাচ্ছে পুলিশ।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভাঙানো হলুদের সঙ্গে কারবারিরা রাসায়নিক, রঙ, ধানের তুষ, কাঠের গুঁড়ো, হলুদ পাউডার, চালের গুঁড়ো মেশাতো। এ ভাবে তৈরি হত ভেজাল হলুদ।

বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘ভেজাল হলুদ খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে। লিভার, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকী, স্নায়ুরোগ বা ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।’’ ভেজাল কারবারে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয় মানুষজন।

Turmeric হলুদ West BengaL Police Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy