Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

TMC: প্রধানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তৃণমূলেরই অঞ্চল সভাপতির

বৃহস্পতিবার শম্ভুনগর পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পরিতোষ হালদার ও তাঁর অনুগামীরা।

পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর অনুগামীরা।

পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর অনুগামীরা। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
গোসাবা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৪১
Share: Save:

এবার গোসাবায় প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। দু’সপ্তাহ আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বরুণ প্রামাণিক ওরফে চিত্তর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার শম্ভুনগর পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পরিতোষ হালদার ও তাঁর অনুগামীরা।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরোধিতা করে শম্ভুনগর পঞ্চায়েত এলাকায় নির্দল প্রার্থী দিয়েছিলেন চিত্ত। তৃণমূলকে হারিয়ে শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে তিনিই হয়েছিলেন প্রধান। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে চিত্তর এলাকায় ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। তবে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে গোসাবা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্করের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে নামেন। নির্বাচনে পরাজয়ের পর আর এলাকায় ঢোকেননি। জয়ন্তর মৃত্যুর পর, সপ্তাহ দু’য়েক আগে গোসাবা ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের হাত থেকে পুনরায় তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন চিত্ত। গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ফের শম্ভুনগর পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।

এ দিন পরিতোষ বলেন, “চিত্ত এলাকায় আসার পর থেকেই অশান্তি শুরু হয়েছে। তৃণমূলে ঢুকলেও সে বিজেপিকে শক্তিশালী করার কাজ শুরু করেছে। ত্রাণ সামগ্রী এলাকার দুর্গত মানুষকে না দিয়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে মজুত করেছে। সেই কারণে এলাকার দুর্গত মানুষরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।”

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন চিত্ত। তাঁর দাবি, বুধবার ব্লক প্রশাসনের তরফে ত্রাণ সামগ্রী এসেছে। সেই ত্রাণ সামগ্রী এখনও কাউকেই বিতরণ করা হয়নি। পঞ্চায়েতের ১১ জন সদস্যদের কাছেই সেই ত্রাণ সামগ্রী সমান ভাবে ভাগ করে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “কী ভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে, তা নিয়েই একটা বৈঠক ডেকেছিলাম এ দিন। পরিতোষের নেতৃত্বে এলাকার দুষ্কৃতীরা এসে বাধা দেয়। আমার উপর হামলার পরিকল্পনা ছিল। পুলিশের হস্তক্ষেপে আমি রক্ষা পাই।” যাদের বিজেপি বলে তকমা দেওয়া হচ্ছে তাঁরাও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এই ঘটনাকে অবশ্য গোষ্ঠী কোন্দল বলে মানতে চাননি গোসাবার তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য অনিমেষ মণ্ডল। তিনি বলেন, “প্রায় দু’বছর প্রধান ছিলেন না। তাই প্রয়াত বিধায়কের নির্দেশে পরিতোষ সরকারি ত্রাণ-সহ অন্যান্য সামগ্রী ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে সংগ্রহ করতেন। এখন প্রধান চলে আসায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তিনিই সব কাজ করছেন। সেটাই মেনে নিতে পারছেন না অঞ্চল সভাপতি। সেই কারণেই এই অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। গোটা বিষয়টা দল লক্ষ্য রাখছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE