Advertisement
১৮ মে ২০২৪

দলের আনা অনাস্থাতেই সরলেন তৃণমূলের প্রধান

অনাস্থা ভোটে দলীয় প্রধানকে হারিয়ে দিলেন তৃণমূলের সদস্যরাই। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ওই পঞ্চায়েতের ১৯জন সদস্যের মধ্যে ১৭জন প্রধান বুলা নাসরিন লস্করের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাসন্তী শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৪
Share: Save:

অনাস্থা ভোটে দলীয় প্রধানকে হারিয়ে দিলেন তৃণমূলের সদস্যরাই। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ওই পঞ্চায়েতের ১৯ জন সদস্যের মধ্যে ১৭জন প্রধান বুলা নাসরিন লস্করের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দেন। ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, নতুন প্রধান গঠনের দিন পরবর্তী সময়ে ঠিক করা হবে।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতের ১৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১২টি এবং আরএসপি ৭টি। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে পঞ্চায়েত গঠন করে তৃণমূল। সবার সম্মতি নিয়ে প্রধান হন বুলা নাসরিন লস্কর। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রধান এলাকায় কোনও কাজ করেননি। বুলা নাসরিন অবশ্য বলেন, ‘‘আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে চক্রান্ত করে আমাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।’’

কিন্তু এই অনাস্থাকে ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের এক সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের সময় থেকে প্রধান ও তাঁর স্বামী স্থানীয় তৃণমূল নেতা আমান লস্কর গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের বিরোধিতা করতে শুরু করেন। এখন তাঁরা দু’জনেই বাসন্তীর বিধায়ক গোবিন্দ নস্করের হয়ে কাজ করেন। সম্প্রতি জেলার যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমান লস্করকে বাসন্তী ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। এই প্রস্তাব জয়ন্তবাবুর অনুগামীরা মেনে নিতে পারেননি। জয়ন্তবাবুর অনুগামীরা তারপর থেকে প্রধানকে সরাতে উঠে পড়ে লাগে বলে অভিযোগ।

৫ সেপ্টেম্বর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে ওই পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন সদস্য। এ দিকে ওই দিনই প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন বুলা। যদিও পরে প্রধান তার ইস্তফাপত্র তুলে নেন।

তৃণমূলের দলীয় সূত্রের আরও খবর, ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে যাতে দল অনাস্থা না আনে সেই জন্য তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনাও করেছিলেন।

বাসন্তীর বিধায়ক গোবিন্দ নস্কর বলেন, ‘‘আমান লস্কর ও তাঁর স্ত্রী আমার লোক। ওরা জয়ন্ত নস্করের কথা না শোনায় চক্রান্ত করে প্রধানকে সরানো হল।’’ তাঁর অভিযোগ, জয়ন্তবাবু গোসাবার বিধায়ক। তা সত্ত্বেও বাসন্তী দখল করতে চাইছেন।

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, ‘‘প্রধানের কাজে মানুষ খুশি ছিলেন না তাই অন্য সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছে। আমি অনেকবার মেটানোর চেষ্টা করেছি। সবাই তৃণমূলের লোকজন। আমার তোমার বলে কিছু নেই।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC gram panchayet no confidence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE