প্রতীকী ছবি।
বাইকে করে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূলের এক নেতা ও তাঁর সঙ্গী। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ওই নেতার বাড়ির কাছে পরানিখেকো গ্রামে। ঘটনায় জখম হন ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি মহরম শেখ ও তাঁর সঙ্গী আলম শেখ। দু’জনেরই পায়ে গুলি লাগে। বুধবার সকালে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতা। তাঁদের অভিযোগ, প্রথমে তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা, এরপর গুলি চালানো হয়। তবে এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা নির্দিষ্ট করে অভিযোগ করেননি তিনি। মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল বলে দুষ্কৃতীদের কাউকেই তিনি চিনতে পারেননি বলেই অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন।
বুধবার সকালে বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু, আই সি ক্যানিং আতিবুর রহমান-সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চারিদিক খতিয়ে দেখেন। হামলার কারণ নিয়ে পুলিশও এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস এই ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, “ গত বিধানসভা নির্বাচনে মহরম দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেই কারণেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওঁকে খুনের চেষ্টা করেছে।”
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূর্ব সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনিপ দাস বলেন, “ ক্যানিং-সহ আশপাশের এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদ সর্বজনবিদিত। এই ঘটনাও তারই ফল।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে এলাকার বেশিরভাগ বিজেপি কর্মীই ঘরছাড়া। তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। সেই কুকীর্তি চাপা দিতেই বিজেপির নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।” এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। কে বা কারা কেন এই হামলা চালিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy