Advertisement
E-Paper

মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় জুটল মার

মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় এক তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় এবং ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি এবং গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০০

মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় এক তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় এবং ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি এবং গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দুর্গাপুজোর নামে জোর করে চাঁদা তোলার পাল্টা অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ক্যানিঙের কুমারসা বটতলা এলাকায়। রবিবার রাতে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের হলে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পুরো ঘটনায় পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ছোটন ঘোষ ও সুকুমার মণ্ডল। সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তুললে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতেরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, শনিবার রাতে কুমারসা বটতলা এলাকার একটি মন্দিরে বসে স্থানীয় কয়েকজন যুবক মদ খাচ্ছিল। অশোকবাবু তার প্রতিবাদ করেন। তার পর ওই যুবকেরা অশোকবাবুর বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে এবং তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। যদিও কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দার পাল্টা দাবি, অশোকবাবু প্রতি বছর পুজোর নাম প্রচুর চাঁদা তোলেন। কিন্তু সেই টাকার সঠিক হিসেব নেই। এ বছরও পুজোর জন্য তিনি চাঁদা তুলতে শুরু করেন। সেই নিয়েই ওই যুবকদের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়েছিল।

সোমবার সকালে ধৃতদের ছাড়াতে ক্যানিং থানায় যান ক্যানিং ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শৈবাল লাহিড়ি। যদিও তার আগেই ধৃতদের আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। শৈবালবাবুর অভিযোগ, ‘‘একটি ঝামেলার ঘটনায় তদন্ত না করেই দু’জন ছেলেকে ধরেছে পুলিশ। সেই নিয়েই গ্রামের কিছু মানুষ থানায় এসেছিল। আমি তাঁদের সঙ্গে ছিলাম।’’ যদিও অশোকবাবুর দাবি, পুজোর জোর করে চাঁদা তোলার অভিযোগ মিথ্যা। মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করার জন্যই তাঁকে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে।

শনিবার গভীর রাতেই মদ খেয়ে গালাগাল করার প্রতিবাদ করায় এক মহিলাকে হুমকি এবং তাঁর ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে হাবরা থানার পশ্চিম বানীপুর এলাকায়। এই ঘটনায় তিন জনকে রবিবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম পিন্টু বড়াল, সন্তু বড়াল এবং রমেন হালদার। দু’জন ওই এলাকার বাসিন্দা এবং একজনের বাড়ি স্থানীয় ইতনা নতুন কলোনি এলাকায়। তবে সোমবার ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হলে তাঁরা জামিন পেয়ে গিয়েছেন।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন রাত এগারোটা নাগাদ সান্ত্বনা পাল নামে ওই মহিলার বাড়ির সামনে মদ্যপ অবস্থায় কয়েকজন যুবক অশান্তি করছিল। সান্ত্বনাদেবী প্রতিবাদ করলে ওই যুবকেরা তাঁর ছেলে সুরজিৎকে মারধর করে বলে অভিযোগ।

মহকুমা শাসককে স্মারকলিপি। বাংলা বা বঙ্গ নয়, রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গই থাক। সোমবার দুপুরে এই দাবিতে ক্যানিঙের মহকুমা শাসককে স্মারকলিপি দিল বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি ত্রিদিব মণ্ডল। মহকুমা শাসকের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বিজেপির স্মারকলিপিটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

liquor TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy