পরেশরাম দাস। — ফাইল চিত্র।
খুন হয়ে যেতে পারেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে দুষ্কৃতীরা। এই অভিযোগ তুলে নিরাপত্তার আবেদন জানিয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পরেশরাম দাস। বুধবার বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মিস পুষ্পার কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন পরেশরাম। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন চিরঞ্জিৎ হালদার ওরফে চিরন নামে এক দুষ্কৃতীর নামও। পুলিশ এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগপত্রে পরেশরাম লিখেছেন, ‘গতকাল এক বিশেষ সূত্র মারফত জানতে পারি, ধলীরবাটি নিবাসী চিরঞ্জিৎ হালদার ওরফে চিরন-সহ তার আরও চার শাকরেদ আমাকে খুন করার জন্য পরিকল্পন করেছে। এদের পিছনে এক বড় মাথা রয়েছে যে এদেরকে প্রত্যক্ষ ভাবে সাহায্য করছে। উক্ত চিরঞ্জিৎ হালদার এক দন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। এর মাস পাঁচেক আগেও এক বার আমাকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল ওই চিরঞ্জিৎ হালদার।’ তিনি তাঁর নিরাপততার দিকটি ‘গুরুত্ব সহকারে’ দেখার জন্য আবেদন করেছেন পুলিশ সুপারের কাছে। বারুইপুরের পুলিশ সুপার অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চিরন তাঁকে খুনের ছক কষছে বলে গত মে মাসে প্রথম অভিযোগ করেছিলেন পরেশরাম। সেই মামলায় জামিনও পেয়েছেন চিরন। কিছু দিন আগে মাতলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য কমল মল্লিককে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে চিরনের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় কিছু দিন জেলে ছিল চিরন। পরে জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে ফেরে চিরন। এর পর আবার তার বিরুদ্ধে বিধায়ককে খুনের চক্রান্ত করার অভিযোগ উঠল। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে বলে দাবি পরেশরামের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy