Advertisement
E-Paper

বনগাঁয় বিজেপিকে হুমকি শাসক দলের বিধায়কের

অনুব্রত মণ্ডল, মনিরুল ইসলাম, তাপস পালের পরে এ বার তৃণমূলের এক বিধায়ক প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে এলাকা থেকে ‘পরিষ্কার’ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় গত ১৬ জুলাই তৃণমূল পরিচালিত পাল্লা পঞ্চায়েতের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিজেপির স্মারকলিপি দেওয়াকে কেন্দ্র করে গোলমাল হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৪ ০২:৪৫

অনুব্রত মণ্ডল, মনিরুল ইসলাম, তাপস পালের পরে এ বার তৃণমূলের এক বিধায়ক প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে এলাকা থেকে ‘পরিষ্কার’ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন।

উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় গত ১৬ জুলাই তৃণমূল পরিচালিত পাল্লা পঞ্চায়েতের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিজেপির স্মারকলিপি দেওয়াকে কেন্দ্র করে গোলমাল হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলে রবিবার সেখানে প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল। সভায় ছিলেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা বিধায়ক নির্মল ঘোষ। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি রতন ঘোষ, বিধায়ক-অভিনেতা চিরঞ্জিত, জেলা সভাধিপতি রহিমা মণ্ডল, বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তাঁর ভাষণের বেশির ভাগ সময়ই ছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক। তিনি বলেন, “এলাকায় বিজেপি নেতাকর্মীরা অশোভন আচরণ করছেন। তাঁরা অশোভন এবং উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বন্ধ না করলে আমরা এক দিন এসে সব পরিষ্কার করে দিয়ে যাব।”

বিশ্বজিৎবাবুর ওই কথায় প্ররোচনা রয়েছে বলে বিজেপি-র দাবি। তাঁদের বক্তব্য, এর পরে এলাকায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হলে দায় কে নেবে? দলের অভিযোগ, ১৬ জুলাইয়ের পরে মিথ্যা অভিযোগে কর্মী অলোক বাইনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। গোপালনগর থানা এলাকায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশ তাদের কর্মীদেরই গ্রেফতার করছে। এ সবের প্রতিবাদে ২৩ জুলাই বিজেপি একটি প্রতিবাদ-সভা করে। সেখানে ছিলেন অভিনেতা জর্জ বেকার। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে তৃণমূলকে ‘বদমায়েশের দল’ এবং ‘মিথ্যাবাদীর দল’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন।

এ দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “জর্জ বেকার নামে এক অভিনেতা এসেছিলেন। কবে একটা দু’টি সিনেমা করেছিলেন কেউ জানেন না। ওই সভায় ২০০-২৫০ লোক হয়েছিল। ওই সভা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারতাম। করিনি, কারণ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।” অপর বিধায়ক সুরজিৎবাবু বলেন, “সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপিতে ঢুকে গোলমাল পাকাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মাওবাদীদের দমন করেছেন। বিজেপির এই আচরণ বন্ধ করতে সময় লাগবে না।” বিজেপি নেতা কে ডি বিশ্বাস বলেন, “বিজেপির উত্থানে ওদের মাথা খারাপ হয়েছে। সাহস থাকলে উনি কথা রাখুন। আসলে ওদের রাজনৈতিক ভাষাটাই এমন।”

পরে বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “পরিষ্কার বলতে বোঝাতে চেয়েছি, রাজনৈতিক ভাবে বিজেপিকে এলাকা থেকে উৎখাত করা। কারণ, প্রশাসনে বিশ্বাস আছে। এলাকার মানুষ ওদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ।” যদিও নির্মলবাবু বলেন, “বিশ্বজিৎবাবু বলেছেন, অতীতে সিপিএম আমাদের সভা ভেঙে দিয়েছিল। বিজেপিও তাণ্ডব করছে। বিশ্বজিৎ সেটাই বলেছে। তার মধ্যে খারাপ কিছু ছিল না।”

gopalnagar tmc mla nirmal ghosh bjp
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy