Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানের বিরুদ্ধে পুকুর ভরাটে মদতের নালিশ

উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, প্রধানের বিরুদ্ধে পুকুর ভরাটে মদতের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তিনি পলাতক। অনিমেষবাবু অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।

বিতর্ক: সেই পুকুর। বাগদায়। নিজস্ব চিত্র

বিতর্ক: সেই পুকুর। বাগদায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগদা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৭ ০২:৩২
Share: Save:

এলাকার একটি পুকুর ভরাটে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাগদার হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান অনিমেষ বাইনের বিরুদ্ধে। আর ওই ভরাটের জন্য সরাসরি থানায় গিয়ে পুলিশের উপরে চাপ সৃষ্টিতেও অভিযুক্ত হলেন তিনি।

স্থানীয় লোকজনের থেকে খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে পুলিশ গিয়ে হেলেঞ্চা এলাকায় ওই পুকুর ভরাট বন্ধ করে দেয়। পুলিশের দাবি, সন্ধ্যায় প্রধান থানায় এসে পুকুর ভরাট করতে দেওযার দাবি জানান। এ নিয়ে সিআই (গাইঘাটা) পার্থ সান্যালের সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কিও হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই পুলিশ অনিমেষবাবুর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুকুর ভরাটে মদতের অভিযোগ দায়ের করে।

উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, প্রধানের বিরুদ্ধে পুকুর ভরাটে মদতের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তিনি পলাতক। অনিমেষবাবু অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। রবিবার ফোনে তাঁর দাবি, ‘‘একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। ওই পুকুরের কারণে এলাকার বাচ্চারা জলে পড়ে যাচ্ছে। বর্ষায় আরও সমস্যা হবে। এ কথাই আমি থানায় জানাতে গিয়েছিলাম। কোনও চাপ সৃষ্টি করিনি।’’

দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ ওঠায় পুলিশকে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এমনকী, তিনি যে পুকুর ভরাটে যুক্ত নন, এ কথাও পুলিশকে লিখিত ভাবে জানানোর জন্য অনিমেষবাবুকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, হেলেঞ্চার যে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছিল, সেটির মালিক ওই এলাকার বাসিন্দা অর্পণ বালা। পুকুরটি তাঁর বাড়ি লাগোয়া। ক’দিন ধরেই মাটি ফেলা হচ্ছে দেখে আপত্তি তুলছিলেন স্থানীয় লোকজন। শনিবার তাঁরা পুলিশকে জানান। অর্পণের নামেও পুকুর ভরাটের মামলা রুজু হয়েছে। তাঁর খোঁজেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, অর্পণের পরিবার ওই পুকুর সংক্রান্ত কাগজপত্র দাখিল করে দাবি করেছে, সেটি ডাঙাজমি। এলাকার বাসিন্দাদের কথামতোই তা ভরাট করা হচ্ছিল। পুকুরকে খাতায়-কলমে ডাঙাজমি বলে দাবি করেছেন প্রধানও। কিন্তু অর্পণের পরিবারের দাখিল করা এ সংক্রান্ত কাগজপত্রে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলে তদন্তকারীরা দাবি করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE