Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

বোমা-গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের নেবুখালি মাদ্রাসা মোড়ে সকাল থেকে যুব তৃণমূল ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় গুলি-বোমার লড়াই। নেবুখালি হাটখোলা, বাওনের মোড়, ছোপানের মোড় এলাকাতেও অশান্তি ছড়ায়। গুলিবিদ্ধ হন সাহাবুদ্দিন।

সংঘর্ষ: বাসন্তীতে। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

সংঘর্ষ: বাসন্তীতে। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাসন্তী শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:১২
Share: Save:

তৃণমুলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামানো যাচ্ছে না দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। বোমা-গুলির লড়াইয়ে মঙ্গলবার সকালে প্রাণ গিয়েছে দলের এক কর্মীর। বাসন্তীর নেবুখালি গ্রামের এই ঘটনায় নিহতের নাম সাহাবুদ্দিন সর্দার (৩০)। কয়েকটি বাড়িতে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, “তদন্ত চলছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।”

তৃণমূল এবং দলের যুব সংগঠনের মধ্যে লড়াই এই এলাকায় নতুন নয়। মাঝে মধ্যেই দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সমস্যায় রাশ টানতে চেয়েও কার্যত ব্যর্থ। মঙ্গলবারের ঘটনা দলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল বলে মানতে চাননি তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘এটা গোষ্ঠী সংঘর্ষ নয়। যারা করেছে, তারা দুষ্কৃতী। পুলিশকে বলেছি, উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।’’দলের স্থানীয় নেতৃত্বের গলায় অবশ্য অন্য সুর।

বাসন্তী ব্লক তৃণমূল নেতা আব্দুল মান্নান গাজি বলেন, ‘‘পরিকল্পিত ভাবে যুব তৃণমূলের নাম করে ইউসুফ মোল্লা অশান্তি ছড়াচ্ছে। বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা করা হচ্ছে। তাদের খুন করা হচ্ছে।” ইউসুফের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘সোমবার রাত থেকে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল ওরা। আমি পুলিশকে জানিয়েছিলাম। মঙ্গলবার সকাল থেকে বোমা-গুলি নিয়ে আমাদের কর্মীদের উপরে ওরা হামলা করে। আমাদের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে কোনও তৃণমূল কর্মীর গুলি লেগে থাকলে তা ওদের নিজেদের বন্দুকের গুলিতেই লেগেছে।”

কী হয়েছিল মঙ্গলবার সকালে?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের নেবুখালি মাদ্রাসা মোড়ে সকাল থেকে যুব তৃণমূল ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় গুলি-বোমার লড়াই। নেবুখালি হাটখোলা, বাওনের মোড়, ছোপানের মোড় এলাকাতেও অশান্তি ছড়ায়। গুলিবিদ্ধ হন সাহাবুদ্দিন। দু’টি গরুর গায়েও গুলি লাগে। বাসন্তী ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা সাহাবুদ্দিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে হোগল সেতুর উপরে দেহ রেখে অবরোধ শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। আধ ঘণ্টা পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। ক্যানিংয়ের এসডিপিও দেবীদয়াল কুণ্ডু, বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু, পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান-সহ আধিকারিকেরা পৌঁছন। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু হয়। তখনও দূরে দু’একটা বোমা ফাটছে। পুলিশের তাড়া খেয়ে এক সময়ে দু’পক্ষ এলাকা ছাড়ে। পুলিশ পিকেট বসেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Basanti BJP TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE