ক্যানিং স্টেশন এলাকার পরিস্থিতি। —নিজস্ব চিত্র।
যানজটের জন্য হয়রান ক্যানিঙের বাসিন্দারা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হল ক্যানিং। এখানে রয়েছে মহকুমা প্রশাসনের দফতর, হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, স্কুল, কলেজ-সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিস। তা ছাড়া সুন্দরবনের অন্যতম প্রবেশদ্বার হল ক্যানিং। ফলে নিত্য অফিস যাত্রী থেকে শুরু করে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে এই শহরে।
আবার এই মহকুমার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম হল ক্যানিং রেলপথ। কলকাতায় যাওয়ার জন্য নিত্য প্রায় হাজার হাজার মানুষ ক্যানিঙে ভিড় জমান।
মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘ক্যানিঙে যানজটের সমস্যাটি আমার নজরে এসেছে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতর ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’’
ক্যানিং শহরে রয়েছে মহকুমাশাসকের দফতর, মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দফতর, থানা, হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সব দফতর। ক্যানিঙের মাতলা নদীর উপরে ও বাসন্তীর হোগল নদীর উপরে সেতু তৈরি হওয়ার পর এখানে বিভিন্ন বাস, অটো, ট্রেকার চলাচল করে। ফলে দিনের পর দিন শহরে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। একে অপরিসর জায়গা তার উপর বেড়েছে যানবাহন। অথচ আজও ক্যানিঙে কোনও বাস টার্মিনাস নেই। ফলে যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকে বাস, অটো-সহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি। যার কারণে বাড়ছে যানজট। এর ফলে নিত্য সমস্যায় পড়ছেন স্কুল, কলেজের পড়ুয়া থেকে নিত্যযাত্রীরা।
ক্যানিংবাসীর অভিযোগ, মাঝে যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য থানা থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিযুক্ত করা হয়েছিল। তখন কিছুটা যান নিয়ন্ত্রণ হলেও এখন আর সিভিকদের দেখা মেলে না। সব থেকে বড় সমস্যা হয় ট্রেনের সময়ে। ট্রেন স্টেশনে ঢুকলেই যাত্রী তোলার জন্য সমস্ত বাস একসঙ্গে লাইন দিয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়ে পড়ে। এক এক সময় এমন যানজট তৈরি হয় যে ৪০-৪৫ মিনিট এলাকা থমকে যায়। রাস্তার দু’ধারে দখলদারদের দাপটে পথচারীদের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়।
স্থানীয় বাসিন্দা সৌম্য পাত্র বলেন, ‘‘স্কুল টাইমে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। যানজট ঠেলে এগনো যায় না। পাঁচ মিনিটের রাস্তা পেরোতে সংয় লাগে তিরিশ মিনিট।’’পুলিশ প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, আগে ক্যানিং থানার পক্ষ থেকে ক্যানিঙে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার নিযুক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ৪১ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বারুইপুর ট্রাফিক কন্ট্রোল নিয়ে নেয় ক্যানিঙের যানজট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। যানজটের বিষয়টি এখন ওরাই দেখাশোনা করে।
বারুইপুর ট্রাফিক কন্ট্রোলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘একে ক্যানিঙের ওই সরু রাস্তা। তার উপরে রাস্তার কাজ হচ্ছে ফলে একটা সমস্যা হচ্ছে। আমাদের ছেলেরা নিত্য যান নিয়ন্ত্রণ করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy